একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় নানা ধরনের গুজব তৈরি করেছিল একটি কুচক্রীমহল। গুজব নয়, সঠিক তথ্যপ্রবাহ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা নিশ্চিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। আজ রোববার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) আয়োজিত ‘গুজব প্রতিরোধে অবহিতকরণ সভা’ এ বক্তারা এ কথা বলেন।
তারা বলেন, উদ্দেশ্যমূলক বা উদ্দেশ্যবিহীন- এই দুই ধরনের গুজব মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিজীবনে যেকোন সময়ে গুজবের নেতিবাচক প্রভাব থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি গুজব সৃষ্টি হতে পারে- এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। গুজব যেভাবে ছড়ায় এবং তাতে যে তথ্য থাকে, এসবে কান না দিয়ে এর তথ্যগুলোকে এড়িয়ে যেতে হবে। সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একটি করে গুজব প্রতিরোধ অবহিতকরণ সেল গঠন করা হয়েছে। সেলগুলো গুজবের বিষয়ে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে থাকে। যাতে এসব মূল্যায়নে সঠিক তথ্যপ্রবাহ থাকে।
বাসস’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বাসস’র সাংবাদিক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুর রহমান বলেন, গুজব কখনো ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আসে না। তিনি বলেন, মানুষের জন্ম ও মৃত্যু নিয়েও গুজব সৃস্টি হয়। সবসময় স্বার্থন্বেষী একটি গোষ্ঠী গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকে। এভাবে গুজব একজন মানুষকে ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রাদুর্ভাব নিয়েও বিভিন্ন ধরনের গুজব রটানো হয়েছিল। এছাড়া বর্তমান সরকারের নানা কার্যক্রমকে কেন্দ্র করেও গুজব তৈরি করা হয়েছিল। সুতরাং গুজবকে গুরুত্ব না দিয়ে, যেকোন বিষয়ে তথ্য যাচাই বাছাই করে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এসময় তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষ্যদর্শী হিসেবে তার অভিজ্ঞতার বর্ননা করেন।