মাগনা জমি সহ ঘরের মর্ম বাঙ্গালী কতোটা বুঝবে, সেই প্রশ্নটা থেকেই যায়। ধারনা করি পৃথিবীর কোন উন্নত দেশেও এই পলিসি নাই যে বিনা পয়সায় জমি ঘড় দেওয়া। গরীব দেশের কথা আর কি বলবো।
জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীতে ফ্রী জমি ও ঘর এটা ঠিক আছে নতুন আইডিয়া ক্যাম্পেইন হিসেবে।
কিন্তু এটা কন্টিনিউ ধারের টাকায় ঘী খাওয়ার শামিল। এই জন্য যে, বলা হচ্ছে ভুমিহীন পলিসি। প্রশ্ন হচ্ছে যিনি ঘর পাচ্ছেন বা আবেদন করছেন উনি সত্যিকারে ভুমিহীন এটা বিশ্বাসযোগ্য কেমনে ? স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় প্রশাসন তারা স্বাক্ষী দিয়েছে। এইতো? তা তারা যে সত্যিটাই বলছে তার গ্যারান্টি কি? কথা হলো এই ঘর ও জমি এবং গুচ্ছ গ্রাম বা আরো কোন নতুন কিছু সংযুক্ত করে একদম ফ্রীতে না দিয়ে, কম মুল্য নির্ধারন করে ৩০-৪০ বছর মেয়াদী কিস্তির সুবিদা দিয়ে ঘর জমি বিতরন করলে ক্ষতি কি ?
যেখানে নিজের চোখে দেখা ৫০০ মানুষের খাবার ১০০ মানুষের মধ্যে বিতরন করার পরেও নিজে কানে অভিযোগ আকারে শুনেছি খাবার পায়নি কম করে হলেও ২০ জনে। সেখানে ফ্রীতে এই জমি ও ঘর আগামী ২০ বছর ধরে এভাবে বিতরন করলেও কি ছিন্নমুল মানুষ পুনর্বাসন করা শেষ হবে ?
বরং আলাদা স্কিম করা যায়, শুধু ঘর বাড়ি নাই যাদের তারা নয়, নয় অনেক মধ্যবিত্ত রয়েছে যাদের ঘর দরকার, জমি আছে ব্যাংক টাকা দেয় উপযুক্ততার অভাবে। এখন যেভাবে যেই ফরমেটে বাড়ি ঘর করে দেওয়া হচ্ছে, এই ফরমেটেই বাড়ি ঘর করে দেওয়া যেতে পারে, খরচ কৃত টাকা ৩০-৪০ বছরের সুদ মুক্ত রিটার্নের শর্তে। যার জমি নাই তাকে দেওয়া জমির মুল্যও নির্ধারন হবে স্থানীয় বাজারদর অনুযায়ী। আর জমির ব্যবস্থা এখন যেভাবে হচ্ছে ক খতিয়ান ভুক্ত জমি গুলোই বিক্রি করে একদিকে সরকারী বিনিয়োগ ফেরত আসবে, অপরদিকে ঘড় ওয়ালারাও ঘরের মর্ম বুঝবে।