দেশে গত কয়েকদিন ধরে আবারো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখি। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩১৯ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এসময় করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরো একজনের। একই সাথে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ।
এর আগে সর্বশেষ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৪০৬ জনের করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার টানা চতুর্থ দিনের মতো করোনায় আরো একজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি ২৯ হাজার ১৩৫ জনের। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ৮৮০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ২১৪ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩১৯ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। ১৩ ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মত দৈনিক শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশে পৌঁছেছে। গতকাল নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিলো ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৫২৮ জনে। সুস্থ হয়েছেন আরো ১২৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৯ লাখ ৬ হাজার ২৩২ জন। এর আগে, দেশে করোনা শনাক্তের হার ১০ এর ওপরে ছিল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১০ দশমিক ২৪। এরপর শনাক্তের হার ধারাবাহিকভাবে কমে ছিল। সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা চার সপ্তাহ ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারো বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারণ করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে রোগী শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহের বেশি ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বে ছড়াতে শুরু করে করোনার অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন। তখন দেশে রোগী শনাক্তের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে।এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে আবার নামতে শুরু করে করোনা রোগীর সংখ্যা। যদিও জানুয়ারির শেষ দিকে শনাক্তের হার কিছুটা কমে ৩০ শতাংশের নিচে নামে। ওমিক্রন আতঙ্ক কিছুটা কাটিয়ে দেশে কয়েক দিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে।এর আগে, ওমিক্রন আতঙ্কের শুরুর দিকে দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে শনাক্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছিল। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। তবে ধীরে ধীরে সেসব বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার।
গত বছরের মাঝামাঝি করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।