কোন ভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না নারীদের প্রতি সহিংসতা। একের পর এক ঘটে যাচ্ছে রোমহর্ষক সব ঘটনা। ঘটনার পর গ্রেফতার হচ্ছে আসামীরা, তারপর আর কোন খবর নেই। এভাবেই চলছে একের পর এক নারীদের উপর সহিংসতা।
এবার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বাসা থেকে এক সন্তানের এক নারীকে তুলে নিয়ে গেছে একই এলাকার একই উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গুতগাঁও গ্রামের আংগুর মিয়ার বখাটে ছেলে শামীম ও তার সহযোগীরা।
নিজের মেয়েকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে কোথায় রেখেছে জানতে চাওয়ায় ঐ নারীর বৃদ্ধ বাবাকে রড দিয়ে পিটিয়েছে বখাটেরা। এরই মধ্যে নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বৃদ্ধকে নির্যাতন করে শামীম ও তার সহযোগীরা।
সোমবার রাতে জগন্নাথপুরের আলীগঞ্জ বাজারের কলোনির ভাড়া বাসা থেকে ধরে নিয়ে ওই বৃদ্ধকে নির্যাতন করা হয়।
বৃদ্ধ আনোয়ার আলী জানান, জগন্নাথপুরের আলীগঞ্জ বাজারের কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন বৃদ্ধ ও তার মেয়েকে নিয়ে। হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার রাজনগর গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো তার মেয়ে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকালে ওই বাসা থেকে বৃদ্ধের মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় শামীম। তারপর থেকে ওই মেয়ের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বৃদ্ধ জানায়, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন ওই নারী। কিন্তু এক সন্তানের জননী বৃদ্ধার মেয়েকে সবসময় উত্ত্যক্ত করতো শামীম। সোমবার সন্ধ্যায় শামীমের কাছে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বৃদ্ধকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে।
নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বৃদ্ধের হাতে, পিঠে ও পায়ে রডের আঘাতের চিহ্ন।
নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধ বলেন, আলীগঞ্জ এলাকার বাসা থেকে আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুতাগাও গ্রামের শামীম, লিটন, লিয়াকত ও আক্কাইসহ আরও দুজন রড দিয়ে পিটিয়েছে। ঘটনাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে জানিয়েও কোনো বিচার পায়নি।
এবিষয়ে জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি জানার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। খুব শিঘ্রই অপহৃত নারী সহ অপরাধীদের খুঁজে বের করা হবে।
পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মখলুছ মিয়ার কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে জানা, “আমাকে এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি, জানলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।”