জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সকল পদ থেকে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই অব্যাহতিকে ‘অগণতান্ত্রিক ও অন্যায়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মশিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি বলেন, ‘বিএনপির পকেটে ঢুকে গেছেন জিএম কাদের।’ এ ব্যাপারে বাংলাভিশনকে দেওয়া এক অডিও বার্তায় মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, তিনি দেখে নেবেন জিএম কাদেরকে।
দলটির যুগ্ম-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বলা হয়, ‘জাপার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদসহ সকল পদ-পদবি থেকে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে অব্যাহতি দিয়েছেন।’ ইতোমধ্যে এই আদেশ কার্যকর হয়েছে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতির প্রতিক্রিয়ায় মশিউর রহমান রাঙ্গা বাংলাভিশনকে দেওয়া এক অডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটা একটা অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করা হয়েছে। উনি (জিএম কাদের) যেটা করেছেন তা অন্যায় করেছেন। এটা সুবিচার হয়নি। আমি প্রেসিডিয়াম মেম্বার। আমি রংপুর জেলার সভাপতি ২১ বছর যাবৎ। আমি বিরোধী দলের চিফ হুইপ। সুতরাং উনি সব জায়গায় তামাশা করবেন, এই তামাশাটা করার ক্ষমতা রাখেন না। সবার একটা মান-ইজ্জত আছে। উনি যেটা করেছেন তা অগণতান্ত্রিক কাজ করেছেন। কিছু পাগল-ছাগল, রামছাগল উনার সঙ্গে থাকে তাদের কথা শুনে এটা করেছেন। সুতরাং এটা একটা অন্যায় করেছেন। আমি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি। এবং আমি উনাকে চ্যালেঞ্জ করছি, জাতীয় পার্টি হয় উনি করবেন না হয় আমি করবো। আমি দেখে নেবো উনাকে।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘উনি (জিএম কাদের) বিএনপির পকেটে ঢুকে গেছে। বিএনপির পয়সা খেয়ে উনি এসব করছেন। এবং যারা কার্মী আছে তাদেরকেউ আমি বলে দিই, আমি নিজের কানে অনেক কিছু শুনেছি। আমি নিজে অনেক কিছু জানি। আপনারা জেনে উনার পক্ষে থাকেন। না থাকলে আরেকদিকে থাকেন।’
২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ২৬ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন মশিউর রহমান রাঙ্গা। গত ৩১ আগস্ট জাতীয় পার্টির ১০ম কাউন্সিল ঘোষণা করেন থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন রওশন এরশাদ। এরপর তাকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দিতে চিঠি দেয় জাপার সংসদীয় কমিটি।