বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে এক সমাবেশে অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আমার বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদলিপি দিয়েছে। আমি নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রক্টরকে চাকর-বাকর বলেছি। তো আমি আর কি বলতে পারি? চৌকিদার বলব নাকি হোটেলের ম্যানেজার বলবো?
রিজভী বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে থাকি; এখানে স্যার এফ রহমান, বজলুল হালিম চৌধুরী, শামসুল হক, অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদরা ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। উনারা শিক্ষক ছিলেন। কোন ছাত্র কোন দল করে, এটা তাদের বিবেচ্য ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অ্যাকাডেমিক টোন সেই টোনকে নষ্ট করেছে, ধ্বংস করেছে, ঢাবির ভিসি আখতারুজ্জামান।
মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপারকে আওয়ামী আদর্শ সন্তান মন্তব্য করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আজ দেখেন মুন্সিগঞ্জের এসপিও অনর্গল মিথ্যা কথা বলে। পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে শাওনকে। তার ডেট সার্টিফিকেটে স্পষ্ট করে লেখা আছে ‘মেসিব হেড ইনজুরি ডিউ টু গান শট’।
এসপি বললেন, ইটের আঘাতে মারা গেছে। কিসের জন্য নিজের অপরাধ ঢাকতে চান এসপি সাহেব? ঢেকে লাভ নাই।
রিজভী বলেন, বিদায়ী আইজিপি বেনজির আহমদকে নিয়ে একটা সার্কুলার দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এটা নজিরবিহিন। ইতিপূর্বে কোন আইজিপিকে অবসরের পর এমনভাবে সার্বক্ষনিক পুলিশ প্রহরা দেওয়া হয়নি। সরকারকে বলতে চাই সাবেক আইজিপিকে আপনি কেন নিরাপত্তা দিবেন? আপনি তাকে দিয়ে কি অন্যায় করিয়েছেন যে অবসরের পরও নিরাপত্তা দিতে হবে? এগুলোর অনেক অর্থ অনেক বিষয় জানা যাবে। কারণ অনেক গুম হওয়া পরিবারের কান্না, অনেক ক্রসফায়ারের কান্না এখানে নিহিত আছে।