ঢাকাবুধবার , ৫ অক্টোবর ২০২২
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মোমবাতির আলোতে হাসপাতাল, হাইকোর্ট, পেট্রোল পাম্প,পানির সংকট,

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৫, ২০২২ ১:১৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বেলা দুইটা চার মিনিটে হঠাৎ জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়। ব্ল্যাকআউট ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ বিভাগ। একসঙ্গে চার বিভাগ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিপর্যয় দেখা দেয় নানা খাতে। ছড়িয়ে পড়ে নানামুখী দুর্ভোগ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সমস্যা হচ্ছিল টেলিযোগাযোগে। দুপুরের পর বিদ্যুৎ বিপর্যয় শুরু হওয়ার পর এ খাতে বড় বিপর্যয় নেমে আসে। টেলিযোগাযোগে এই সমস্যার পেছনে সাইবার হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। যদিও এই বিপর্যয়ের পেছনে কারণ কী তা গতকাল পর্যন্ত সরকারি কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে কী সমস্যা হয়েছিল তাও জানানো হয়নি। রাত ১০টা পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হওয়া এলাকার কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলেও বেশির ভাগ এলাকাই ছিল অন্ধকারে।

দীর্ঘদিন পর এমন দীর্ঘ ব্ল্যাক আউটের কবলে পড়ে দেশের বড় অংশ। বিদ্যুৎ না থাকায় রাজধানীর সড়কগুলোতে ছিল ভুতুড়ে অন্ধকার। বাসা বাড়িতে সংকট দেখা দেয় পানির। হাসপাতালগুলোতে দেখা দেয় বিপর্যয়।মোমবাতির আলোতে হাসপাতাল, হাইকোর্ট, পেট্রোল পাম্প,পানির সংকট,
বিকল্প ব্যবস্থায় কিছু সেবা চালু রাখা হলেও গরমের কারণে সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ মুহূর্তে বড় ধাক্কা হয়ে আসে এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়। উৎসবের রঙ হঠাৎ পানসে হয়ে আসে। মণ্ডপে মণ্ডপে বিকল্প ব্যবস্থায় পূজা হলেও ছিল না উৎসবের আমেজ। বিদ্যুৎ না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন প্রতিষ্ঠান। উচ্চ আদালতের কার্যক্রম চালানো হয় মোমবাতি জ্বালিয়ে। পরীক্ষার্থীদের পড়তে হয় দুর্ভোগে। বড় ভবনগুলোর জেনারেটর চালু রাখতে তেলের জন্য পেট্রোল পাম্পগুলোতে দীর্ঘ সারি দেখা যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক সিএনজি স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন গাড়িচালকরা। অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষ বাসা বাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে আসেন। তবে পুরো রাজধানী অন্ধকারে থাকায় নিরাপত্তার কারণে অনেকে বাইরে বের হতেও সাহস পাননি। টেলিযোগাযোগ সমস্যা তৈরি হওয়ায় অনেকে জরুরি যোগাযোগ করতে পারেননি প্রয়োজনে। বন্ধ হয়ে যায় ব্যাংকের এটিএম সেবা। সমস্যা তৈরি হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে।

গতকাল দুপুর ২টা ৪ মিনিটে বিপর্যয় দেখা দেয় বলে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ-পিজিসিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয় সমস্যা তৈরির পর থেকেই তা সারানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা যায়নি। রাজধানীর দুই একটি এলাকা, সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহের দুই একটি জায়গায় সরবরাহ পুনরায় শুরু করা হয় বলে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়। যদিও সমস্যা দেখা দেয়ার পর বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক কয়েক দফা তাদের ফেসবুক পেজে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুতেই স্বাভাবিক হচ্ছিল না। এক মাস আগেই জাতীয় গ্রিডের আরেকটি সঞ্চালন লাইনের বিভ্রাটে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ৪০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকে। পিজিসিবি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণেই এমনটি হয়েছে বলে আমরা মনে করি। ওভারলোডের কারণে সমস্যা হয়নি। তবে আরও কোনো কারণ আছে কিনা তা বুঝতে বেশ কিছুক্ষণ সময় প্রয়োজন।

সর্বশেষ গত ৬ই সেপ্টেম্বর সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাট দেখা দিলে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ৪০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকে। ওই ঘটনায় পিজিসিবি’র প্রধান প্রকৌশলী বিএম মিজানুল হাসানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল, তা আর জানানো হয়নি। কালবৈশাখী ঝড়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালীপুরে একটি বিদ্যুতের টাওয়ার ভেঙে পড়ে ২৩০ কিলোভোল্টের সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে ২০১৭ সালের ২রা মে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ জনপদের অন্তত ৩২ জেলার মানুষকে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়। ২০১৪ সালের ১লা নভেম্বর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সঞ্চালন কেন্দ্রে বিপর্যয় দেখা দিলে ভারতের সঙ্গে সঞ্চালন লাইন বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ভারতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রক্রিয়া। একই সময় দেশের উৎপাদনে থাকা সব বিদ্যুৎকেন্দ্র একযোগে বন্ধ হয়ে গেলে, ধস নামে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। ফলে সারা দেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়।মোমবাতির আলোতে হাসপাতাল, হাইকোর্ট, পেট্রোল পাম্প,পানির সংকট,

হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা বিঘ্ন: জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেয়ায় রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে দুর্ভোগে পড়েন রোগীরা। নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয়েছে রোগীদের। চিকিৎসা সেবায় ঘটেছে বিঘ্ন। বিশেষ ব্যবস্থায় চলেছে অপারেশন ও আইসিইউ। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় হাসপাতালে ব্যবহার করা হয়েছে জেনারেটর। এই আলোতে কোনোমতে দূর করেছে হাসপাতালের অন্ধকার। রোগীদের সেবায় স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল থাকলেও জরুরি অপারেশনের রোগীদের ক্ষেত্রে ছিল ভোগান্তি ও ঝুঁকি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এক একটি হাসপাতালে দুই থেকে তিনটি জেনারেটর ব্যবহার করা হয়েছে। রোগীদের সেবা কার্যক্রমে পড়েছে প্রভাব। আইসিইউ ও অপারেশন থিয়েটারেও এই জেনারেটর সংযোগ নির্ভর করতে হয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন থাকায় পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। জরুরি অপারেশনের রোগীদের নিয়ে ছিল ভয় ও আতঙ্ক। গতকাল দুপুর ২টা থেকে এই বিপর্যয় ঘটে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে সরজমিন দেখা যায়, বিদ্যুৎ না থাকায় সিটি স্ক্যান, এক্সরে বন্ধ রয়েছে। ও এম আর আই বিকল্প ব্যবস্থায় চলছে। বিশেষ ব্যবস্থায় চলেছে অপারেশন ও আইসিইউ।

এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে রোগীদের। মো. কালাম কামরাঙ্গীরচর থেকে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না আসায় তাকে পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। তিনি বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। নূর ইসলাম জানান, আমার বাবাকে নিয়ে কুমিল্লার তিতাস থেকে এসেছি। ঢাকা মেডিকেল নতুন ভবনের মেডিসিন ওয়ার্ডের ৬০১ নম্বর বেডে ভর্তি আছেন। ওখান থেকে জরুরি বিভাগে এক্সরের জন্য পাঠানো হলে বিদ্যুৎ না থাকায় আমার বাবাকে নিয়ে অসুবিধায় পড়ি। কখন যে বিদ্যুৎ আসে অপেক্ষা করছি। এ দিকে কামরাঙ্গীরচর থেকে সিটি স্ক্যান করার জন্য আসেন মাজেদা বেগম। তার স্বজন বাবুল জানান, আমি আমার রোগীকে নিয়ে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। কখন বিদ্যুৎ আসে। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, জাতীয় গ্রিডের বিপর্যয়ের ফলে দুপুর থেকেই হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ না থাকলে একটি পরিবারে যে সমস্যা হয় তারচেয়ে বেশি সমস্যা হাসপাতালে হচ্ছে। হাসপাতালজুড়ে অন্ধকার। এদিকে রোগীর সেবায় বিঘ্ন এগুলো সবই সমস্যা। আমরা এখন পর্যন্ত জেনারেটর সাপোর্ট দিচ্ছি। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ এমন অবস্থা হলে সমস্যায় পড়তে হবে। এখন তো আইসিইউ, ওটিতে জেনারেটর সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের তিনটি জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি সবারই কম-বেশি সমস্যা হচ্ছে। রোগীদের আরও বেশি সমস্যা এবং ভোগান্তি হতে পারে, ঘটতে পারে চিকিৎসাসেবায় বিঘ্ন। আমরা জেনারেটর ব্যবহার করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত জেনারেটর চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সাপোর্ট দিতে পারবো। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, দুপুর দুইটা থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। রাত আটটা বাজে এখনো বিদ্যুৎ আসেনি। সাধারণ রোগীদের বিদ্যুৎ না থাকায় সিটি স্ক্যান, এক্স-রে বন্ধ রয়েছে। ও এম আর আই বিকল্প ব্যবস্থায় চলছে। সিটি স্ক্যানও বন্ধ রয়েছে। এতে রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে বলেও জানান তিনি। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন বলেন, জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে। তবে ইমারজেন্সি কোনো সার্জারির রোগী আসলে তাদের জন্য সেবায় বিঘ্ন ঘটবে। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় এখন পর্যন্ত এই ধরনের কোনো রোগী আসেনি হাসপাতালে। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাসপাতালে তো অবশ্যই সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ থাকা অবস্থায় হয়তো সুবিধা বেশি হয়। যেটা জেনারেটরে হয় না।

রোগীদের সেবা ও হাসপাতালের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিকে মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালের পরিচালক স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেনারেটরের ব্যবহার চলছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ চলে আসলে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না।মোমবাতির আলোতে হাসপাতাল, হাইকোর্ট, পেট্রোল পাম্প,পানির সংকট,

পানি সংকটে দুর্ভোগ: জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে বিদ্যুতের পাশাপাশি পানি নিয়েও চরম সংকটের কথা জানিয়েছেন ঢাকার বাসিন্দারা। খাবার পানি থেকে শুরু করে রান্নাবান্না, গোসল আর নিত্যকার কাজে সংকটের মধ্যে পড়েছেন তারা। লিফট বন্ধ থাকায় উঁচু ভবনে উঠানামায়ও কষ্টের মুখোমুখি হয়েছে মানুষ। লালবাগের একজন বাসিন্দা বলেন, পুরান ঢাকা এমনিতে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। বেলা ২টার পর থেকে বিদ্যুৎ নাই। পানি সরবরাহও কিছু সময় পর বন্ধ হয়ে গেছে। মসজিদ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে অজু করে নামাজে যেতে।

জ্বালানির জন্য দীর্ঘ লাইন: দুপুর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর চালাতে ডিজেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে ডিজেলের জন্য ভিড় করেন গ্রাহকেরা। ড্রাম ও নানা ধরনের পাত্র নিয়ে ফিলিং স্টেশনগুলোতে লাইন করেন তারা। বিকালে রাজধানীর আসাদগেট এলাকার তালুকদার ফিলিং স্টেশনে দেখা যায় এমন মানুষের দীর্ঘ সারি। একজন ক্রেতা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর চালাতে তিনি জ্বালানি তেল কিনতে এসেছেন। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর তিনি ডিজেল পেয়েছেন। কলাবাগান থেকে আসা একজন বলেন, তিনিও ডিজেল নিতে এসেছেন। ডিজেল পেতে তাকেও এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁও, বিজয় সরণি ও শাহবাগ এলাকার একাধিক ফিলিং স্টেশনেও এমন চিত্র দেখা যায়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।