এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে ‘নাটক’ চলছে টুর্নামেন্ট শুরুর আগ থেকেই। যদিও শ্রীলঙ্কায় হাইব্রিড পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্তে ধারণা করা হচ্ছিলো যে এবারে সমাপ্তি আসবে নাটকের। কিন্তু সকল ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল জানান দিলো যে এখনও আসেনি সেই নাটকের সমাপ্তি। আসতে যাচ্ছে নতুন পর্ব। আর সেই পর্বের নাম ‘ভেন্যু পরিবর্তন’।

ধারাবাহিক সেই নাটকের প্রথম পর্বে এসিসি দেখায় যে তারা সুপার ফোরের ম্যাচগুলো কলম্বো থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে চায় হাম্বানটোটায়। কেননা পাল্লেকেলেতে আগামী দশ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। এর আগে গ্রুপ পর্বের ভারত-পাকিস্তানের বিগ ম্যাচটি গিয়েছিল বৃষ্টির পেটে। ভারত-নেপালের মধ্যকার ম্যাচটিতেও বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি।
আর সে কারণেই সুপার ফোরের ম্যাচগুলো সরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
এদিকে ভেন্যু পরিবর্তনের প্রস্তাবনা দিয়েছিল পাকিস্তানও। তারা চেয়েছিল ভারতের ম্যাচগুলো দুবাইয়ে আয়োজন করতে আর বাকি ম্যাচগুলো নিজ দেশে। কিন্তু সেই প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়ে হাম্বানটোটাকে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাব দেয় এসিসি।
কিন্তু নাটকের মোড় ঘুরে যায় ভারতের কারণে। কেননা ভেন্যু পরিবর্তনের সম্পূর্ণ বিপক্ষে তারা।
তাদের দাবি হাম্বানটোটায় খেলোয়াড়দের থাকার মতো ভালো মানের কোনো হোটেল নেই।
একইসঙ্গে চারদলের থাকার ব্যবস্থা করাটাও কঠিন।
আর সে কারণেই শেষ পর্যন্ত ভেন্যু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এসিসি।
পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামেই গড়াবে ফাইনালসহ সুপার ফোরের ছয়টি ম্যাচ।
ম্যাচের দিন বৃষ্টি বাধা নিশ্চিত তো বটেই, ম্যাচ ভেস্তেও যেতে পারে বৃষ্টিতে।
কিন্তু তারপরও ভারতের ভেন্যু না পরিবর্তনে এমন সিদ্ধান্তে রীতিমত খোঁচা মেরেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি নজম শেঠি।
কলম্বোর আবহাওয়া পূর্বাভাসের রিপোর্টের ছবি নিজের টুইটারে পোস্ট করে শেঠি বলেন, ‘বিসিসিআই বা এসিসি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে প্রথমে জানায় যে বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে ভারত-পাক ম্যাচ কলম্বো থেকে হাম্বানটোটায় স্থানান্তরিত করা হবে।
এরপর এক ঘণ্টার মধ্যেই তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে জানায় কলম্বোতেই খেলা হবে। হচ্ছেটা কী? ভারত কি পাকিস্তানের কাছে হারের ভয় পাচ্ছে? বৃষ্টির পূর্বাভাসটা তো দেখুন।’
এশিয়া কাপের চলতি আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে হাইব্রিড পদ্ধতিতে।
পাকিস্তান মূল আয়োজক হলেও তাদের মাটিতে হচ্ছে কেবল চারটি ম্যাচ। বাকি নয়টি ম্যাচই হবে শ্রীলঙ্কায়।