রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দলটি জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার অবরোধ কর্মসূচি থেকে শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। ঢাকায় দলটি ১২ জায়গায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, গত রোববার হরতালের দিন রাতে রাজশাহী নগরে গোলাম কাজেম আলী ও এরশাদ আলী নামের দুজন জামায়াত নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁরা দুজনই পেশায় চিকিৎসক। এ ছাড়া গতকাল নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের আমির মোশাররফ হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা মহানগর জামায়াত জানিয়েছে, রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণের ১২টি জায়গায় তারা অবরোধ করে। এর মধ্যে রাজধানীর তালতলা, তেজগাঁও, উত্তরা-১০ নম্বর, মোহাম্মদপুরের বছিলা সড়কে, মিরপুরের রূপনগর, মহাখালী কাঁচাবাজার-সংলগ্ন সড়ক, খিলগাঁও-স্টাফ কোয়ার্টার ও গোপীবাগ এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে। এ ছাড়া তেজগাঁও ও উত্তরায় রেলপথ এবং সদরঘাটে নৌপথ অবরোধের সমর্থনে পৃথক মিছিল করে জামায়াত। সন্ধ্যার পর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়ায় চিটাগাং রোডে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
উত্তরায় রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি উপলক্ষে মিছিলের পর ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ সরকারের একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান বলেন, গত পাঁচ দিনে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের প্রায় ১ হাজার ১০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে নেতা-কর্মীদের হত্যা, মিছিলে হামলা ও গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিন সারা দেশে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি দেয়। পরে জামায়াতে ইসলামীও পৃথকভাবে একই কর্মসূচি ঘোষণা করে।