আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আট রাজনৈতিক জোটের সমন্বয়ে সম্মিলিত মহাজোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে এই মহাজোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ কংগ্রেস ও জাতীয় জোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেনকে আহ্বায়ক এবং জাতীয় ইসলামী জোট ও জাতীয় ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুককে মহাজোটের সদস্যসচিব করা হয়েছে।
মহাজোটভুক্ত রাজনৈতিক জোটগুলো হলো- জাতীয় জোট, জাতীয় ইসলামী ঐক্যজোট, সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ), বাংলাদেশ স্বাধীন জোট, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স, গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশ, পলিটিকাল পার্লামেন্ট অ্যালায়েন্স (পিপিএ), বাংলাদেশ জাতীয় ইসলামী জোট (বিএনআইএ)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কাজী রেজাউল হোসেন। তিনি বলেন, আটটি রাজনৈতিক জোটের সমন্বয়ে সম্মিলিত মহাজোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এই ক্রান্তিলগ্নে দেশ ও জনগণের স্বার্থে এবং জাতীয় সংকট নিরসনে এই মহাজোটের ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সক্ষমতা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত মহাজোটের পক্ষ থেকে ১০ দফা প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- ডিসিদের পরিবর্তে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ, সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং প্রার্থীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।
স্বাধীন জোটের চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত মহাজোটের যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা আজমের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও মহাজোটের সদস্য সচিব আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক, সম্মিলিত জাতীয় জোটের চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল মামুন (দীপু মীর), গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এস এম আশিক বিল্লাহ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান ফয়েজ হোসেন, পলিটিক্যাল পার্লামেন্টের অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান এম. আর করিম এবং বাংলাদেশ জাতীয় ইসলামী জোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ডা. গোলাম মোর্শেদ হাওলাদার।