শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
রোববার প্রতিনিধির মাধ্যমে তার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ। একইসঙ্গে তার ছেলে মোহাম্মদ কায়সাসের পক্ষেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে জেলা নির্বাচনে কর্মকর্তার কাছে পাঠানো গিয়াসের একটি চিঠি সাংবাদিকরা পেয়েছেন। তবে গিয়াসের কোনো চিঠি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পাননি বলে জানিয়েছেন।
এদিকে গিয়াস উদ্দিনের মোবাইলে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছাড়াও গিয়াস উদ্দিন নারায়াণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা গিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
আর এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হিসেবে এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
গিয়াস উদ্দিন ও তার ছেলে কায়সারের পক্ষে রোববার বিকেলে প্রতিনিধির মাধ্যমে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।
সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ নিজেই। তিনি বলেন, ‘তারা কেউ সশরীরে আসেননি। তবে প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।’
এদিকে ভোটে প্রার্থী হওয়ার বিষয় অস্বীকার করে মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে সোমবার আবেদন করা গিয়াস উদ্দিনের একটি চিঠি সাংবাদিকরা পেয়েছেন।
গিয়াসের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, তাঁর ও তাঁর ছেলের নামে যদি কেউ মনোনয়নপত্র তুলে থাকে তাহলে তা বাতিল করার অনুরোধ করছি।
গিয়াস উদ্দিনের নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি নেতা গিয়াসের সঙ্গে তার মোবাইলফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ একাত্তরকে বলেছেন, মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে গিয়াস উদ্দিনের পাঠানো কোনো চিঠি তারা পাননি।
গত ১৫ নভেম্বর আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদদের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।
তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর।
তফসিল ঘোষণার পর দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলগুলো ভোটে অংশ নেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে।
কিন্তু তফসিল প্রত্যাখ্যান করে সরকার পতনের এক দাবিতে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশন থেকে বারবারই তাদের ভোটে ডাকা হলেও বিএনপি তাতে কান দিচ্ছে না।