দল থেকে পদত্যাগকারীদের সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নির্বাচনের সময় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট দেওয়ার লোক পাওয়া না গেলেও পদত্যাগের জন্য পাঁচ শতাধিক কর্মী কোথা থেকে আসলো?
শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন জাপা মহাসচিব
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাপা মহানগর উত্তরের ১০ থানার ৬৬৮ নেতা-কর্মীকে নিয়ে পদত্যাগ করেন। মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টুর নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় সেন্টু দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারের অভিযোগ তোলেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় চুন্নু বলেন, নির্বাচনে শেরীফা কাদেরের আসনের কেন্দ্রে এজেন্ট দেয়ার লোক যেখানে ছিলো না, সেখানে পদত্যাগ করার এতো কর্মী সেন্টু সাহেব কোথায় পেলো। আমরা বিষয়টা নিয়ে গবেষণা করবো।
তিনি বলেন, যার পদত্যাগ করতে মিছিল নিয়ে গেছে তাদের ৭/৮ জনকে মাত্র চিনি। জাতীয় পার্টিতে এতো কর্মী ছিলো সেটাও আজ জানলাম। তারা নতুন দল করলে তাদের স্বাগত জানাই। এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ। তবে তাদের পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ হলে তা দেখার বিষয়।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেও ঢাকা-১৮ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জিততে পারেননি জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের।
স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে গোহারা হেরেছেন শেরীফা। ওই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে কোনো প্রার্থী ছিলো না।
সাংবাদিকেদর চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টি নেতৃত্বে জি এম কাদের, এটাই একমাত্র পার্টি। এরশাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুতির অভিযোগ তুথে ইতোপূর্বেও অনেকে দল ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু তারা জানেই না এরশাদের আদর্শ কী। বলতে পরলে আমি পদত্যাগ করব।
চলে যাওয়া সদস্যদের জন্য দলে কোনো প্রভাব পরবে না দাবি করে চুন্নু বলেন, দলে প্রভাব পরবে না বলেই তারা দলত্যাগ করেছে। জাতীয় পার্টি লোক দেখানো কর্মসূচিতে নেই উল্লেখ করে জাপা মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সবাই যেমন চিন্তিত, আমরাও এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রতিবাদ তো কেবল রাস্তায় নামলেই হয় না। দেখনদারির প্রতিবাদে, অবস্থান কর্মসূচিতে জাতীয় পার্টি নেই।