চায়না সরকার ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে…
-হা তো ?
চায়না সরকার স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট ফিলিস্তিনিদের অধিকারের কথা বলেছে…
-হা তো ?
চায়না সরকার ইজরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে…
-হা তো ?
হা তো, হা তো… মানে কি ?
মানে ক্লিয়ার…
চায়না সরকার তাদের দেশের উইঘুর মুসলিমদের জন্য মিনিমাম মানবতা দেখায়নি।
চায়না সরকার তাদের দেশে উইঘুর মুসলিমদের সাধারন জীবনযাপনের অধিকার দেয়নি।
চায়না সরকার তাদের দেশে তিব্বতি বৌদ্ধদের জন্য মিনিমাম অধিকার মানবতা দেখায়নি।
উইঘুর তিব্বতিদের জন্য আলাদা রাষ্ট তো বহুত পরের গল্প…
সেই চায়না সরকার ফিলিস্তিনি বা কাশ্মিরীদের জন্য হেগে মুতে ভাসাইয়া দিলেও ইহা স্রেফ ধান্দাবাজী ছাড়া আর কিছুই না।
আরেকটা কথা, বাংলাদেশে বসে, ইসলাম কায়েমের নামে যারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানদের বাড়ি ঘড় জ্বালিয়ে দিয়ে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার পক্ষে কথা বলে বা নানান ভাবে উষ্কানী দেয়, সেই তারা যখন ফিলিস্তিনিদের জন্য কান্নাকাটি করে বা রোহিঙ্গাদের জন্য কান্নাকাটি করেছিলো সিরিয়াসলি দুই বিষয়ই আমার কাছে হাইস্যকর ধান্দাবাজী মনে হয়।
এখন আবাবিল সাবাবিল বালেরবিল কোন নামে কে কত বিকাশে চাদাবাজী করলো বা না করলো এইসব নিয়ে অনেক বেশী কিছু বলার নেই। তবে বলার আছে একটা কিছু, বাঙ্গালী রোহিঙ্গাদের জন্য মানবতা দেখাইছে ইহা মাগনা মাগনা ছিলো না, ভিতরে ছিলো আশ্রয় দেওয়ার সুযোগে বিপন্ন রোহিঙ্গাদের সুন্দরী ঝি বউদের ভোগ করার চিন্তা আর ছিলো মিয়ানমার থেকে টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের সিমান্ত পার এইপারে আশ্রয় দেওয়া। ইটস সেম, বাঙ্গালী মুসলিমদের যদি হাতে অপশন থাকতো যে কাশ্মিরী বা ফিলিস্তিনিদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া খুব সহজ তাহলে দেখতেন এতোক্ষনে এইখানে যৌনচিন্তা ও আর্থিক লেনদেন কিভাবে কাজ করতো।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনিদের উপড়ে ইজরায়েলী বর্বরতার বিপরিধে প্রতিবেশী ফিলিস্তিনি রাষ্টগুলোর সীমান্ত খুলে দিয়ে ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে কেউ বলছে না। তবে ফিলিস্তিনিদের সীমান্ত রাষ্ট যদি বাংলাদেশ হতো, তাহলে এতোক্ষনে ঠিকই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাপে বাংলাদেশ সরকার বাধ্য হতো সীমান্ত খুলে দিয়ে রোহিঙ্গাদের মত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে। এই আর কি…