জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই মূল্যবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সরকার জনগণের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশে একথা বলেন মির্জা ফখরুল।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘তারা (সরকার) যে দুর্নীতি করছে তার প্রমাণ মধ্যরাতে জ্বালানি তেলের দাম আকাশচুম্বী বাড়িয়ে দেয়া। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বললেন-সহনীয়ভাবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হবে, অথচ কয়েকঘন্টার ব্যাবধানে ৫০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করা হলো। এই বৃদ্ধি জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। পরিবহন, নিত্যপণ্যসহ সর্বক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ’।
ভোলায় বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে, পাঁচ দিনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ করে ছাত্রদল। সমাবেশে গুলিবর্ষণের ঘটনার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর মাধ্যমে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্র সামনে চলে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের গণদাবি নিয়ে বিএনপি যখন গণ-আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তখন এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পেটুয়া পুলিশবাহিনী গুলি করে হত্যা করলো আব্দুর রহিম ও নুরে আলমকে। এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’।
বিএনপি মহাসচিব জানান, ‘এই সরকার টিকে আছে ভয়ভীতি, হত্যা ও দমন-পীড়ন করে। রহিম ও আলমের আত্মত্যাগ চলমান সংগ্রাম ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার গণআন্দোলন আরো বেগবান করবে’।
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার আমাদের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ৩৫ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্তরীণ রেখেছে। তারুণ্যের অহংকার আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশান্তরী করে রেখেছে’।
বিএনপি মহাসচিব দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আর সময় নেই। আসুন একসঙ্গে রাজপথে নামি। জনগণ আজ জেগে ওঠেছে। ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।