সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা খবর রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে। সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সদস্য আঁখি খাতুন ইউরোপ তথা সুইডেনের একটি ক্লাবে খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে জানতে আঁখির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিয়ে রহস্য রেখে দিলেন তিনি।
নেপালকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। নারী সাফের ২২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে নিয়েছে সাবিনা-আঁখি খাতুনরা। সেই সঙ্গে দেশের ফুটবলেরও ১৯ বছরের শিরোপার আক্ষেপ মিটিয়েছে তারা। দেশের ফুটবলে সবশেষ ট্রফি এসেছিল ২০০৩ সালে। সেবার পুরুষ ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
সদ্য সমাপ্ত সাফে আলোচনায় ছিল বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। প্রতিপক্ষের জালে ২৩ টি গোল দিলেও টুর্নামেন্টজুড়ে হজম করেছে মাত্র ১টি গোল। এর পেছনে গোলরক্ষক রূপনা চাকমা ছাড়াও প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল ডিফেন্ডার আঁখি খাতুনের। বাংলাদেশের গোলবার অক্ষত রাখার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তার।
নারী ফুটবলারদের নিয়ে দেশজুড়ে যখন প্রশংসার ঝড় বইছে, ঠিক তখনি পাওয়া গেল খবরটা। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে, ইউরোপের ক্লাবে খেলার ডাক পেয়েছেন আঁখি খাতুন। বলা হচ্ছে, এই বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুতে সুইডেনের ক্লাবটিতে যোগ দিতে পারেন আঁখি। আর সেটি হলে প্রথম বাংলাদেশি নারী ফুটবলার হিসেবে ইউরোপিয়ান ফুটবলে সুযোগ পাওয়ার হাতছানি ১৯ বছর বয়সী আঁখির সামনে।
তবে এ খবরের সত্যতা জানতে আঁখির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সময় সংবাদকে তিনি জানান, আসলে সকাল থেকে এমন খবর আমিও পাচ্ছি। প্রথমে আমার বাবা আমাকে বলেছে। তখন এতটা পাত্তা দেইনি। এরপর বন্ধুরাও বলছে আমি নাকি ইউরোপের ক্লাবে খেলার প্রস্তাব পেয়েছি। তারা আমাকে স্ক্রিনশটও দেখাচ্ছে। সত্যি কথা বলতে এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। তবে এমন কিছু যদিও হয়েও থাকে, সে ক্ষেত্রে ফেডারেশনের সঙ্গে কথা বলে পরবতী পদক্ষেপ নেয়া যাবে।
সাফজয়ী এ ফুটবলার আরও বলেন, এমন কিছু হলে ভালো। এটা আমাদের দেশের নারী ফুটবলের জন্যই ভালো খবর হবে। যদি অফার এসেই থাকে তাহলে ফেডারেশন আমাকে সেটা জানাবে।
এর আগে বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছিলেন, বেশ কয়েকজন নারী ফুটবলারকে দেশের বাইরের ক্লাবে খেলানোর চেষ্টা করছেন তিনি। যেখানে সানজিদা, কৃষ্ণা রানী ছাড়াও নাম ছিল আঁখি খাতুনেরও।