গড়ে প্রতি মাসে ১,২৭,৪৮৩ জনের মৃত্যুতে ১১ মাসে করোনায় মৃত্যু ১৪ লক্ষ অতিক্রম! সারা বিশ্বে গত ১১ মাসের প্রতি মাসে গড় হিসাব করলে দেখা যায়,
আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪,১২,১০৩ জন,
মারা গেছেন ১,২৭,৪৮৩ জন,
সুস্থ হয়েছেন ৩৭,৪৩,০১০ জন।
প্রকোপ দেখা দেয়ার এগার মাস পূর্ণ হওয়ার এখনও এক সপ্তাহ বাকি। এরই মধ্যে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ লাখ ছাড়াল আজ। এর মধ্যে গত একদিনেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৮ হাজার মানুষের। আক্রান্তও ছয় কোটির ঘরে প্রবেশ করার মতো অবস্থা। কিন্তু পিছিয়ে আছে সুস্থতার হার।
বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী,
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৭২৪ জনের দেহে।
এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৩৩ হাজার ১২৮ জনে।
নতুন করে ৭ হাজার ৯৪৯ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ লাখ ২ হাজার ৩১২ জনে ঠেকেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থতা লাভ করেছেন ৪ কোটি ১১ লাখ ৭৩ হাজার ১১০ জন ভুক্তভোগী।
এর মধ্যে গত একদিনেই বেঁচে ফিরেছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজার ২৫১ জন রোগী।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২২০টি দেশ অঞ্চলে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যেই দীর্ঘ হয়ে চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৭১ জন।
এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৭ জনের।
সংক্রমণের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৪০ জন এবং
মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার ২৫৪ জনের।
প্রাণহানিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও সংক্রমণে তিনে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার ৬০ লাখ ৮৮ হাজার ৪ জন।
মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৪১ জনের।
চারে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা হানা দিয়েছে ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬০ জন।
এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৪৯ হাজার ২৩২ জনের।
পাঁচে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ২১ লাখ ১৪ হাজার ৫০২ জন।
এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৪০ জন।
ছয়ে থাকা স্পেনে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬ লাখ ০৬ হাজার ৯০৫ জন।
প্রাণহানি ঘটেছে ৪৩ হাজার ১৩১ জনের।
দ্বিতীয় তরঙ্গে মহামারি গতি বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। এমতাবস্থায় নতুন করে চার সপ্তাহের লকডাউন চলছে সেখানে।
এখন পর্যন্ত সেখানে করোনা হানা দিয়েছে ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪৯৫ জন মানুষের দেহে।
এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৫৫ হাজার ২৩০ জনের।
একইপথে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। দ্বিতীয় দফায় ক্রমেই করোনা ভয়াবহ রূপ নেয়ায় শুক্রবার (৬ নভেম্বর) থেকে সেখানে লকডাউন জারি হয়েছে।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৫ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৫০ হাজার ৪৫৩ জনের। সুস্থতা লাভ করেছেন এক-তৃতীয়াংশ রোগী।
মেক্সিকোয় করোনার ভুক্তভোগী ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৩৫৮ জন।
এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৯২৬ জনের।
মৃত্যু হারে যা যেকোন দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ।
এদিকে, ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে আজকে দুপুর পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬০ জন মানুষ।
এর মধ্যে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৬১১ জন সুস্থতা লাভ করলেও প্রাণহানি ঘটেছে ৬ হাজার ৪১৬ জনের।