প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে বলেছিলেন,
আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে ছাত্রদলই যথেষ্ট।
আর ছাত্রলীগকে খাতা-কলম হাতে দিয়ে তিনি পড়াশোনা করতে বলেছেন।
কেননা, লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ না হলে কোনো আদর্শ বাস্তবায়ন করা যায় না।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত স্মরণকালের মহা ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।
অশিক্ষিত, মূর্খদের হাতে দেশের দায়িত্ব পড়লে সে দেশের
কোনো অগ্রযাত্রা হতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ‘আমরা যদি ’৭৫ সালের কথা চিন্তা করি, তাহলে দেখব, জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে
তারা দেশকে কিছুই দিতে পারেনি।
যে জাতি যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে, বিজয়ী সেই জাতির বিজয়ের ইতিহাস মুছে ফেলেছিল তারা।
ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলেছিল।’
তিনি বলেন, “এ দেশে ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল।
যে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে এ দেশের লাখ মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে, সেই স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ রেডিওর নামসহ বিভিন্ন নাম পরিবর্তন করে যাদের আমরা পরাজিত করেছি,
সেই পরাজিত শক্তির পদাঙ্ক অনুসরণ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল খুনি মোশতাক-জিয়া।”
জিয়াউর রহমান আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্যই ক্ষমতায় এসেছিল বলেও মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে সবাই নিজেদের স্বজন হারানোসহ যেকোনো অন্যায়ের বিচার চায়।
অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের কথা বলে। আমার প্রশ্ন: সেই ১৫ আগস্ট যখন মা-বাবা-ভাইসহ সব
হারালাম, আমাদের তো বিচার চাওয়ারও অধিকার ছিল না।
আমরা তো বিচার চাইতেও পারিনি।
১৯৮১ সালে যখন আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়, আমি দেশে ফিরে এসেছিলাম অনেক
বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করে, এক রকম জোর করে ফিরে এসেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমি জানি, তখন ওই খুনিদের ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে
পুরস্কৃত করে ক্ষমতায় বসিয়েছিল জিয়া।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছিল, অনেকে কারাগারে ছিল, তাদের মুক্ত করে তখন ক্ষমতায় বসানো হয়।’
এমনকি ছাত্রলীগের কর্মীকে যে আসামি হত্যা করেছিল, তাকেও মুক্ত করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসায় বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর: সময়টিভি।
