বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রফিক-উল হক। হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন তাঁর মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালে। ১৯৬০ সালে তিনি আইন পেশায় আসেন। ১৯৯০ সালে তাঁকে অ্যাটর্নি জেনারেল করা হয়।
জানা যায়, গত ৯ দিন আগে বার্ধক্যজনিত ও ফুসফুসের নানা সমস্যা নিয়ে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফুসফুসের কিছুটা ন্নিতি হলেও তাঁর সার্বিক অবস্থা সংকটাপন্ন অবস্থাতেই ছিলো।
হাসপাতালের মহাপরিচালক নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, “ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিলো। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করে করেছি, কিন্তু বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা ছিলো।’
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রফিক-উল হকের স্ত্রী ফরিদা হক বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান। তাঁর ছেলে ফাহিম-উল হকও একজন আইনজীবী।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রফিক-উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, “দেশ একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিককে হারালো।” প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্ত্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তাঁর এক শোকবাণীতে বলেন, “রফিক-উল হক একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। আইনের শাসন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।”
বেলা দুইটায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে রফিক–উল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিৎ করেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি তা জানান।
এর আগে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে রফিক–উল হকের জানাজা হবে। বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
