ঢাকাশুক্রবার , ৪ আগস্ট ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘ডিক্টেটর’ আওয়ামী লীগকে সরাতে হবে: মির্জা ফখরুল।

অনলাইন ডেস্ক
আগস্ট ৪, ২০২৩ ১১:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আওয়ামী লীগকে ‘ডিক্টেটর’ হিসেবে অবিহিত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম

আলমগীর বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কিংবা ভারত কী বলল সেটা নিয়ে আমাদের মাথা
ঘামানোর দরকার নেই।
এই ডিক্টেটরকে সরাতে হবে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডাক্তার জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ‘দুদকের মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায় ঘোষণার’ প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিদেশীরা কি বললো সেটা নয়, আমাদের দরকার বাংলাদেশের মানুষ কী বলছে?
সেটাই আসল। মানুষ বলছে, ‘ডিক্টেটর’ তোমরা বিদায় হও। সুতরাং এই সরকারকে যেতেই হবে।
দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।

সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়। নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের
সামনের দুপুরে সড়কে বৃষ্টির পানি জমে যায়।
হাঁটুসমান পানিাতে দাঁড়িয়েই সমাবেশে অংশ নেন দলটির কর্মী-সমর্থকরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব একটা দেখেন না জানিয়ে মির্জঅ ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,
আজ আমাদের এক বন্ধু (ফেসবুকে) একটা কার্টুন দেখিয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ডিক্টেটরদের নিতম্ব থেকে আসনকে অপারেশন করে সরানো হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন কাজ।
তিনি বলেন, এই যে চেয়ার ছাড়তে চায় না; একবার বসে, ওখান থেকে আর উঠতে চায় না।
কিন্তু এইবার তাদেরকে কি চেয়ারে বসে থাকতে দেয়া যাবে বন্ধুগণ?
এ সময় সমবেত জনতা চিৎকার করে ‘না’, ‘না’ বলতে শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানকে সাজা
দেওয়ার প্রতিবাদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা বিএনপির যৌথ
উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা পানির নীচে তলিয়ে গেলেও পানিতে দ্বাঁড়িয়ে থাকেন হাজার হাজার মানুষ।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের পেছনে যাওয়ার কোনো পথ নেই।
এই দেশকে, দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমাদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
মরণপণ সংগ্রাম, মরণপণ যুদ্ধ করে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনে এদের বিদায় করতে হবে।
এই সরকার বিদায় হলে মামলা-মোকদ্দমা-রায় সবকিছু চলে যাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষের শত্রু, স্বাধীনতার শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, যারা
বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদের রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করেছেন।
তাদের পতনের দাবিতে যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে; আন্দোলনের উত্তাল তরঙ্গের
মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদকে উৎখাতের জন্য এগিয়ে চলেছে; গণতান্ত্রিক আন্দোলন যৌক্তিক পর্যায়ে
এগিয়ে চলেছে; ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য মানুষ দিনের পর দিন আন্দোলন করছে- ঠিক তখন এই ভীরু, কাপুরুষ, সরকার আমাদের নেতা
তারেক রহমানকে একটা মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে।
শুধু তাই নয়, তার সহধর্মিণী, যিনি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্তই নন, যার পারিবারিক প্রতিপত্তি কয়েক
হাজার কোটি টাকা, তাকে কয়েক লাখ টাকার এফডিআরের জন্য সাজা দিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার, যারা বৈধ নয়, যারা সম্পূর্ণ জোর করে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে,
বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন, প্রশাসন, এবং বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে- তারা আজ প্রমাণ করেছে যে তাদের কথার মধ্য দিয়েই
ভয়ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
এবার কী আমরা ওই নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে করতে দেব? সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা উত্তরে ‘না’ উচ্চারণ করেন।
এরপর মির্জা ফখরুল আবার বলেন, তাহলে বন্ধুগণ এবার সেই মরণপণ সংগ্রাম।
মরণপণ যুদ্ধ। মরণপণ যুদ্ধ করে সমস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।

নেতাকর্মীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশে আসায় বিএনপি মহাসচিব তাদের উদ্দেশে বলেন,
প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে আজ ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার নেতাকর্মীরা সমাবেশে অংশ
নিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ, দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলে এই দানবকে পরাজিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে; বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন, প্রশাসন এবং
বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা (সরকার) আজ প্রমাণ করেছে,
তাদের কথার মধ্য দিয়েই ভয়ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।

এর আগে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণের নেতাকর্মীরা খ- খ- মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু
করেন।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নয়াপল্টনে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর প্রথম মিছিলটি আসে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির।
এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।
এ ছাড়া দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলার একটি মিছিল আসে। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক।
সাভার ও আশুলিয়া থেকেও মিছিল আসে, যার নেতৃত্ব দেন ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু।
ধামরাই থেকে আসা মিছিলের নেতৃত্ব দেন তমিজ উদ্দিন।
একই সঙ্গে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড-থানা থেকে মিছিল আসতে দেখা যায়।
প্রতিবাদ সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান,
ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক,
আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহিদ
উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি
খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফান ইবনে
আমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।