নো বলে কিংবা এলবিডব্লিউ করে নয়, বরং মিডল স্টাম্প উড়িয়ে সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
‘বিএনপির ছোড়া বলে গুগলি-আউট কিছুই হবে না’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী এ বথা বলেন।
শনিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া রায়ের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রিত আদালত কর্তৃক দেওয়া রায়ে আমি বিস্মিত নই।
কারণ চাঁদাবাজ কাউকে মসজিদের ইমাম বানালে চাঁদাবাজির কাজই বেশি হবে।
সন্ত্রাসী কাউকে স্কুলের শিক্ষক বানালে সেখানে গণিত, ইংরেজির দিকে গুরুত্ব থাকে না। কারণ দেশ চালাচ্ছে কারা?
তিনি বলেন, মানুষ বলাবলি করেন ‘লাইলাতুল ইলেকশন’ করেছেন।
এখন ‘লাইলাতুল আদালত’ কর্তৃক রায় দেওয়া হচ্ছে। সাগর-রুনির বিচারের শুনানি ৯৯ বার পেছানো হয়েছে।
আর তারেক রহমানের রায় তো দ্রুত গতিতে দেওয়া হয়েছে। সেই রায় আগেই লেখা ছিল। সেজন্যই আমি বিস্মিত নই।
রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান।
তিনি তো গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর তার দুর্বল জায়গা তার সহধর্মিণী।
সেজন্যই তাদের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়া হয়েছে। যারা ফ্যাসিস্ট তাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
এ বিএনপি নেতা বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করতে বাধা দিচ্ছে।
কিন্তু প্রযুক্তির নানা মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য জনগণের কাছে পৌঁছে গেছে।
মানুষ আজ জেগে উঠেছে। তারা ইট, কাঠ, পাথর, কংক্রিট উপেক্ষা করে সর্বোচ্চ আওয়াজ দিয়ে স্লোগান দিচ্ছে।
এত হামলা, মামলা, নির্যাতন করেও কিন্তু তাদের দমাতে পারেনি। বিএনপির এত জনসমর্থনই হলো শেখ হাসিনার ভয়ের কারণ।
তবে বেশিদিন আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আজকে অনেকেই বলছেন, ডা. জোবায়দা রহমান তো রাজনীতি করেন না।
তো মামলা কেন? অতীতে ড. ইউনূস, ব্যারিস্টার রফিকুল হক- এদের ঘটনা তো সবারই জানা।
সুতরাং তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দার বিরুদ্ধে রায় শেখ হাসিনার আক্রোশের প্রতিফলন।
আমি এ রায় অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। না হলে আপনি যে অন্যায়গুলো করছেন পার পাবেন না।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, বাংলাদেশ আজ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে ন্যায়বিচার নেই।
যার প্রমাণ তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অন্যায়, ফরমায়েশি রায় দিচ্ছেন। দেশের মানুষ ও পেশাজীবীরা এ রায় মানে না এবং মানবে না।
ড্যাবের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের পরিচালনায় মানববন্ধনে ড্যাব এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগি প্রতিষ্ঠানের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।