ঢাকামঙ্গলবার , ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পূর্ব সাহেলি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে মেয়ে প্রঃ শি‌ক্ষিকা ও বাবা ক‌মি‌টির সভাপ‌তি, দুজ‌নের অ‌নিয়‌মে শিক্ষা ক্ষ‌তিগ্রস্ত।

মফস্বল সংবাদ
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ ৮:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পূর্ব সাহেলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উঠেছে নানা অভিযোগ।

বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সম্পর্কে বাবা মেয়ে। এই সম্পর্কের শক্তিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমা আক্তার বিভিন্ন অনিয়ম করে চলছেন।

লিখিত অভিযোগে অভিভাবকরা উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমা আক্তার শিশুদের দিয়ে টয়লেট পরিস্কার করান এবং টয়লেট তালা দিয়ে রাখেন শিশুদের ব্যবহার করতে দেন না, শিশু শ্রেনীর ক্লাস বিদ্যালয়ের নির্ধারিত শ্রেনি কক্ষে না নিয়ে পার্শ্ববর্তী প্রধান শিক্ষিকার বাড়িতে ১৫০ টাকা মাস হিসাবে অন্য শিক্ষিকা দিয়ে ক্লাস নেয়ান। এছাড়াও স্কুলের আঙ্গিনায় শিশুদের খেলার জায়গায় সবজি বাগান করেন। যদি উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো কর্মকর্তা ভিজিটে আসেন তাহলে ঐ শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নিয়ে এসে দেখান প্রধান শিক্ষিকা নাজমা আক্তার । এছাড়াও অভিযোগে আরো উলেখ করা হয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও এখনো কমিটি করা হয় নাই।

অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় মানিকগঞ্জ জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম ও উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মুন্নাফ খান সরেজমিনে তদন্তে যান স্কুলে।

তদস্ত কাজ চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমা আক্তার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ শুকুর আলী তদন্তে বেঘাত ঘটাতে এ সময় তাদের সমর্থনে এক দল উশৃঙ্খল লোক অভিযোগকারীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং মারমুখী হয়। পরে বিদ্যালয়ে শিবালয় থানা পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করে।

এ সময় অভিযোগকারী রাকিবুজ্জামান রনি বলেন, আমার মেয়ে এই স্কুলের শিশু শ্রেনীতে ভর্তি করি। কিন্তু আমার মেয়েকে নিয়ে ক্লাস করায় প্রধান শিক্ষিকার বাড়িতে অন্য এক ম্যাডামকে দিয়ে। শুধু আমার মেয়ে না আরও যারা এই স্কুলের শিশু শ্রেনীতে পড়ে সবাইকে ওখানে ক্লাস করায় এবং তাদের থেকে মাসে ১৫০ টাকা করে বেতন নেয়।

অভিযোগের বিষয়ে অভিভাবক মোঃ মিলন মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষিকা নাজমা আক্তার আমাদের ছেলে মেয়েদের বেতন নিয়ে উনার বাড়িতে পড়ান এবং কেউ স্কুল পরিদর্শনে এলে বাচ্চাদের আবার স্কুলে এনে দেখান।

ভভিবাবক রোকসানা আক্তার বলেন, আমার বাচ্চা এই স্কুলে পড়ে। ওদের ব্যাবহারের টয়লেট ওদের দিয়ে পরিস্কার করায় এবং টয়লেট ব্যাবহার করতে দেয় না। প্রধান শিক্ষিকা বাচ্চা ও আমাদের সাথে অনেক খারাপ আচরণ করে। আমরা এর বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে আসা জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহিনুর ইসলাম বলেন আমারা অভিভাবকদের অভিযোগের তদন্ত করছি । এ বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে পারবো না ।

অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি হাজী মোঃ শুকুর আলী বলেন, আমি স্কুলে জন্য জায়গা দিয়েছি। আমি এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জায়গা দিছি। আজ যারা আমার ও আমার মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে তাদের কোন টাকা নাই তারা বিদ্যালয়ের জন্য কিছু করে নাই। আজ বিদ্যালয় সরকারী হয়েছে এখন সবাই লুটে পুটে খাওয়ার জন্য আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।

পূর্ব সাহেলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমা আক্তার বলেন আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা। যে সকল বাচ্চারা আমার বাড়ির পাশে অন্য এক বাড়িতে পড়ায় তারা আমাদের সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর আস্থা রাখতে পারেন না তাই ওখানে পড়ান আমি অনেকবার আনার চেষ্টা করেছি তারা আসে না। আর আমি বিদ্যালয়ে বেগুন গাছ লাগিয়েছি বিদ্যালয়ের বাড়তি আয়ের জন্য আমার জন্য না ।

সূত্রঃ দৈ‌নিক গ্রামবাংলা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।