জেমস ওয়েবে তোলা মহাবিশ্বের আরো চারটি ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। মঙ্গলবার সে ছবিগুলো প্রকাশ করে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন বলেন, প্রতিটি ছবিই একটি নতুন আবিষ্কার।
সোমবার জেমস ওয়েবে তোলা প্রথম ছবি প্রকাশ করে নাসা। সেটি ছিলো গ্যালাস্কি ক্লাস্টারের-যার নাম এসএমএসিএস-০৭২৩। যা ওয়েবস ফার্স্ট ডিপ ফিল্ড নামে পরিচিত। নিয়ার ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করে এটি তোলা হয়।
সৌরজগতের নিকটবর্তী এই ক্লাস্টারের একেকটি ছায়াপথের মধ্যকার নূন্যতম দূরত্ব ৪৬০ কোটি আলোকবর্ষ। আর এ ছবি তুলে আনতে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের সময় লেগেছে মাত্র সাড়ে ১২ ঘণ্টা।
এরপর দিন মঙ্গলবার আরো চারটি রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। এর মধ্যে একটি ক্যারিনা নেবুলার ছবি। যা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির মধ্যে তারা-গঠনকারী অঞ্চল, প্রায় ৭ হাজার ৬শ আলোকবর্ষ দূরে।
নাসার ডেপুটি প্রজেক্ট সায়েন্টিস্ট ফর কমিউনিকেশন আমবার স্ট্রগন বলেন, এই ছবিতে ক্যারিনা নেবুলার মহাজাগতিক ক্লিফের এই দৃশ্য আরো বিশদভাবে বোঝা যাচ্ছে। প্রথম আমরা একেবারে নতুন তারা দেখছি যেগুলো আগে কখনোই দেখিনি।
জেমস ওয়েবের ক্যামেরায়-মহাবিশ্বের সাউদার্থ রিং নেবুলায় একটি মৃত নক্ষত্রের শেষ অবস্থা ধরা পড়েছে।
নতুন ছবির তালিকায় আছে স্টেফেনস কুইনটেটের ছবি। যা ৫ ছায়াপথের সমষ্টি। গ্যালাক্সি ও ব্ল্যাক হোলের বিবর্তনের উপর নতুন করে আলোকপাত হয়েছে।
ওয়াস্প-৯৬বি নামে বিশালাকৃতির গ্রহের বায়ুমণ্ডর বিশ্লেষণ করেছে ওয়েব টেলিস্কোপ। এটি পৃথিবী থেকে এক হাজার আলোকবর্ষ দূরে। প্রকাশিত ছবিতে- প্রথম দূরবর্তী এক্সোপ্ল্যানেটের বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এক হাজার কোটি ডলারের এই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল গত বছর ২৫ ডিসেম্বর। মহাকাশে সুপরিচিত হাবল টেলিস্কোপের জায়গা নিতে এটি তৈরি করা হয়।
লক্ষ্য ছিল, সাড়ে তেরো কোটি বছর আগের তারার আলোকে আবিষ্কার করা ও বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান করা। প্রথম লক্ষ্য পূরণে এসেছে সাফল্য। এখন অপেক্ষা বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান।