বিগত ২০১৪ ও ২০১৮’র নির্বাচনের আলোকে বলা যায় দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। এধরনের নির্বাচন দেশের জনগণ চায় না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন।
তিনি বলেন, বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিকে তাকালেই বুঝা যায় দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কী অবস্থা। ১৪ সালে ১৫৪টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় ঘোষণা করা হয়েছে। ১৮ সালে নির্বাচনের আগের রাতে ভোট হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় বলা যায় এবারও আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বর্তমান সরকারের অধীনে দ্বাদশ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। একতরফা নির্বাচন দেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে। সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পরবে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় পরে দেশ ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটে পরবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পল্টনস্থ কার্যালয়ে দেশের চলমান সঙ্কটজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির প্রমূখ।
অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, নির্বাচন কমিশন দলীয় সরকারের অধীনে তফসিল ঘোষণা করে কালো অ্যধায়ের সৃষ্টি করেছেন। সরকার নীল নকশার নির্বাচনের দিকে গিয়ে দেশকে ভয়াবহ সংঘাত ও বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতামত উপেক্ষা করে ইসি হাবিবুল আউয়াল কমিশন নির্বাচনের নামে জাতির সামনে আরেকটি তামাশার দ্বার উন্মোচন করছে চায়।