ফজলুল বারীঃ এর নাম ফারুক। বয়স ২৮ বছর।পিতা – মকবুল ডাকাত। বাড়ি-কন্যামন্ডল,থানা – পাগলা, ময়মনসিংহ। পেশায় কুখ্যাত ডাকাত। তার নামে খুন সহ ডাকাতি, ডাকাতি, হত্যা, হত্যার উদ্দেশ্য অপহরন, দস্যুতার মতো অপরাধের পাগলা থানা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ সব মামলার পাঁচটি গ্রেফতারী পরোয়ানা এ থানায় মুলতবি ছিল অনেক দিন থেকে।দীর্ঘদিন যাবৎ পুলিশ গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে তাকে।
কিন্তু সে আত্মগোপন করে ছদ্মবেশ ধারন করে পালিয়ে থাকে। তার পিতা নামকরা ডাকাত সর্দার ছিল। লোকমুখে শুনা যায় তার পিতা মকবুল ডাকাত আন্তঃ জেলার ডাকাতদের নিয়ে সম্মেলন করেছিল। বিভিন্ন পদ পদবীও অনেকে পেয়েছ। বিভিন্ন মামলা, জেলখেটে দিন শেষে হিসাবে খাতা শুন্য। পুঁজি শুধু মামলাগুলো। মকবুল ডাকাত জীবনের হিসাব মিলিয়ে দেখে শুধু অন্ধকার। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেছিল। দীর্ঘদিন জেল খেটে মামলার জামিনে মুক্তি পায়। জামিনের পর সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চায়। জীবিকার তাগিদে সে গ্রামে একটি সেলুন দোকান দিয়ে চলে। এ চুল কাটা রপ্ত করে জেলে থেকে।একদিন তার সাথে দেখা।
তার অপরাধ জীবনের বর্ণীল ও দুর্ধর্ষ কাহিনী শুনি।অপরাধ জীবনের অনুশোচনা করে।অপরাধ জগৎ থেকে আলোর জগতের থাকতে চায়। কথার একপর্যায়ে তার ছেলে ফারুক ডাকাতের কথা বললে সে কিছুটা থমকে যায়। অনেক দিন তাকে বুঝিয়ে তার মতো তার ছেলে কেউ অপরাধ জগৎ থেকে আলো জগতের ফিরে আনার কথা বলি।
তার ছেলেকে আত্মসমর্পন করাতে বুঝিয়ে বলি। পরে সে তার ছেলেকে আত্মসমর্পন করাতে সম্মত হয়। এরপর তার পিছে লেগে থাকা। গত ১১/৬/২০২১ তাং মকবুল থানায় এসে বলেন যে আগামী কাল তার ছেলে কুখ্যাত ডাকাত ফারুককে থানায় নিয়ে আসবে। বিষয়টি মাননীয় পুলিশ সুপার ময়মনসিংহ স্যার কে অবগত করিলে, স্যার সাধুবাদ জানায়। অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে স্যার আমাকে দিক নির্দেশনা দেন। মানময়ী স্যারের নির্দেশনায় ১২/৬/২০২১ তাং ডাকাত পিতা মকবুল তার কুখ্যাত ডাকাত ছেলে ফারুক কে থানায় আত্মসমর্পন করায়।কুখ্যাত ডাকাত ফারুকও পিতার মতো অপরাধ জগৎ ছেড়ে আলোর জগতে ফিরতে চায়। এতো বড় বড় অপরাধ করে তারও হিসেবে খাতা শুন্য। পাঁচটি ওয়ারেন্ট মুলে তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়। জামিনে আসার পর তাকে মাননীয় পুলিশ সুপার ময়মনসিংহ স্যারের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনার ক্ষেত্রে সহায়তা করা হবে।
পাপকে ঘৃনা করো- পাপীকে না।
হয়তো সফল হতেও পারে।
ভালোবাসা, ভালো ব্যবহার করেও ভালো কিছু করা যায়। থানার ফেসবুক পেজে বিষয়টি আপলোড করা হয়েছে।