ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুক্রবার (১৮ জুন) স্থানীয় সময় রাত ২টায় শেষ হয়েছে। শনিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যার আগেই এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে। শুক্রবার সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর একটানা ১৯ ঘণ্টা ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পান সেদেশের নাগরিকরা। খবর পার্সটুডের।
সন্ধ্যায় ৭টায় ভোটগ্রহণের মূল সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বহু মানুষ ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করে। ফলে ভোটের সময় বাড়ানো হয়। পরে রাত ২টা পর্যন্ত চলে ভোট। রাত ২টার মধ্যে যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত হতে পেরেছেন তাদের ২টার পরও ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন মোট ৫২৯ জন। এর মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন পেয়েছিলেন সাতজন।
এর মধ্যে একেবারে শেষ সময়ে এসে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিন প্রার্থী। তিনজন সরে দাঁড়ানোয় প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন প্রার্থী। তারা হলেন- সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি, মোহসেন রেজায়ি, আব্দুন নাসের হেম্মাতি এবং কাজিযাদে হাশেমি। এর মধ্যে জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন বিচার বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ ইব্রাহিম রায়িসি।
এর আগে তেহরানে দ্বিতীয় টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেন ইরানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া সাত প্রার্থী। তুলে ধরেন প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
এ ছাড়া দুর্নীতিমুক্ত এবং সামরিকভাবে শক্তিশালী ইরান গঠনেরও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রার্থীরা। তবে ইরানের পরবর্তী সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে দেশটিকে আরও শত শত নিষেধাজ্ঞার জন্য অপেক্ষা করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে শুক্রবার সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইরানব্যাপী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া বিশ্বের আরও ১০১টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী ইরানিদের জন্য ৪৫০টি ভোটকেন্দ্র খোলা হয়।
বিশ্বের ২২৬টি সংবাদমাধ্যমের প্রায় ৫০০ সাংবাদিক ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খবর কভার করার জন্য ইরানে এসেছেন।
ইরানের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হলে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট নেওয়া হবে।
