জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ইসলামকে অবমাননা করে ফেসবুক পোষ্ট ও কমেন্টস নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া। সেসব পোস্ট ও কমেন্টের স্ক্রিনশর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপ ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভাইরাল হলে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।
ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ পাওয়া ছাত্রীর নাম তিথি সরকার।
অভিযুক্ত তিথি সরকার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক বলে জানা যায়। তিনি একাধারে বিশ্ব হিন্দু সংগ্রাম পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক।
জানা যায়, তিথী সরকার দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্টের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে মন্তব্য করে আসছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিভিন্ন ফেসবুক পোস্ট ও কমেন্ট ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সাধারন শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের ছাত্র অধিকার পরিষদ দলটির সাথে সংশ্লিষ্টতার কারনে দলটিরও সমালোচনা করছেন। ইতিমধ্যে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সামাজিক মাধ্যমে দাবি উঠেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু বকর খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা কিছুদিন ধরেই বিষয়গুলো লক্ষ্য করেছি, পরবর্তীতে আমরা তাকে কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাকে বহিষ্কার এর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, “ওই শিক্ষার্থীর বেশ কয়েকটা স্ক্রিনশর্ট আমি পেয়েছি। সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় খুললে আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্যবস্থা নেবো।”
সাধারণ ছাত্র~ছাত্রীদের ভাষ্য, মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশে ইসলামকে নিয়ে কোন সংখ্যা লঘুদের এ ধরনের কর্মকান্ড ধৃষ্ঠতার শামিল। তিথি সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা সহ প্রচলিত আইনের আওতায় এতে শাস্তির দাবী জানান সবাই।