নগরের চকবাজারে বুধবার দুপুরে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের এ পেঁয়াজ কিনতে ভিড় করেন সাধারণ লোকজন।
ক্রেতাদের অনেকেই জানান, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানের কারণে নয়, বরং মূল্য বৃদ্ধির পর পেঁয়াজের বিক্রি কমে যাওয়ায় অনেক জায়গায় পেঁয়াজ পঁচতে শুরু করেছে। মূলত গুদামের পেঁয়াজ পচন থেকে বাঁচানোর জন্য বিক্রেতারা মাইকিং করে পেঁয়াজ বিক্রি করা শুরু করেছে। এখানেও মজুদকারীরা নিজেদের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য মাইকিং করে পেঁয়াজ বিক্রি করা শুরু করেছে। দেখা যাবে কালকে পেঁয়াজের দাম আরো কমে যাবে। পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ বাজার আসার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
ভারত সম্প্রতি পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর সারা দেশে পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।
এ ঘোষণার প্রভাব পড়ে কুমিল্লায়, যেখানে গত কয়েক দিন পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ক্রেতাদের ক্ষোভের খবর প্রকাশ হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
পেঁয়াজের দর নিয়ে মঙ্গলবার জরুরি সভা হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। সেখানে উপস্থিত দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ জানান, সমিতির লোকজন নিয়ে বাজার তদারকি করে পেঁয়াজের দাম আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন।
পরের দিন বুধবার সকালে ভোক্তা অধিকারের কুমিল্লা জেলার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম পেঁয়াজের মূল্য তদারকির অভিযান শুরু করেন। তারপর নগরীর পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত চকবাজারের ব্যবসায়ীরা মাইকিং করে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন।
অপেক্ষাকৃত কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অনেকে। তাদের একজন শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ করেই ২০০ টাকা হওয়ায় বিপাকে পড়েছিলাম। আজ ৮৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ কেজি কিনেছি।’