কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তার মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছে। এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
২০০৬ সাল থেকে আরব উপসাগরের তেলসমৃদ্ধ দেশটির আমিরের দায়িত্বে ছিলেন শেখ সাবাহ। দীর্ঘদিন ধরেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। ২০০২ সালে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করা হয় কুয়েতি আমিরের। এর দুই বছর পর হৃদপিণ্ডে একটি পেসমেকার প্রতিস্থাপন করা হয়। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মূত্রনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় শেখ সাবাহর।
২০১৯ সালেও একবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শেখ সাবাহ। অসুস্থতার কারণে তখন যুক্তরাষ্ট্র সফর সংক্ষিপ্ত করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার সূচি পর্যন্ত বাদ দেন কুয়েতি আমির। শেখ সাবাহ ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে আধুনিক কুয়েতের পররাষ্ট্রনীতির স্থপতি বলা হয়। সে হিসেবেই তিনি সর্বাধিক পরিচিত।এছাড়াও প্রায় ৫০ বছর ধরে তিনি দেশটির পররাষ্ট্রনীতি দেখভাল করছেন। তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৯১ এবং ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
সৌদি আরব এবং কাতারের মধ্যে বিদ্যমান কূটনৈতিক সংকটেও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালন করেন। ২০৬ বছর ধরে কুয়েত শাসনের দায়িত্বে ছিল সাবাহ’র পরিবার।এদিকে, শেখ সাবাহ’র মৃত্যুতে তাঁর ৮৩ বছর বয়সী সৎ ভাই এবং বর্তমান যুবরাজ শেখ নাওয়াফ আল-আহমেদ কুয়েতের নতুন আমিরের দায়িত্ব নিতে পারেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।