জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা গাজা ইস্যুতে একটি সমাধানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার পর চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জরুরি মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরিভাবে কাজ করার এবং একটি অর্থবহ এবং কার্যকরী রেজুলেশন গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছি।
যৌথ বিবৃতিটি অব্যাহত রেখে জাতিসঙ্ঘে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধি লানা জাকি নুসিবেহ বলেন, ‘আমরা আজ যেমন শুনেছি, গাজার বেসামরিক লোকেরা জাতিসঙ্ঘের সুবিধা, হাসপাতাল এবং শরণার্থী শিবিরেও নিরাপত্তা খুঁজে পাচ্ছে না।’
লানা জাকি নুসিবেহ আরো বলেন, ‘যুদ্ধের আইন আছে এবং তাদের অবশ্যই সেটা মানা উচিত।’
এদিকে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এরই মধ্যে ১০ হাজারের মতো মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, ৭ অক্টোবর সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আল-জাজিরা।