উপর্যুপরি বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি বা সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে জাপানে। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় মূল দ্বীপ হোনশু’র তোয়ামা জেলার প্রধান শহর তোয়ামা সিটিতে ইতোমধ্যে আঘাত হেনেছে সুনামি। জাপানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে সুনামির ঢেউয়ের একটি ভিডিওচিত্র ভাইরাল হয়েছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী নিচু এলাকাগুলোতে বসবাসকারী জনগণকে নিরাপদ ও উঁচু স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির আবহওয়া দফতর।
হোনশু’র অপর জেলা ইশিকাওয়ার ওয়াজিমা বন্দরে ইতোমধ্যে ১ দশমিক ২ মিটার (৩ ফুটেরও বেশি) উঁচু জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। ভূমিকম্পের এপিসেন্টারও এই ইশিকাওয়া জেলায়।
মার্কিন ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার (১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ৬ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে ইশিকাওয়ায়। যার মাত্রা ছিলো ৫ দশমিক ২। তারপর ৫ থেকে ১০ মিনিট অন্তর অন্তর মোট ২১টি ভূমিকম্প হয়েছে জাপানে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোটোটির মাত্রা ছিলো ৪ দশমিক ৬ এবং সবচেয়ে বড়টির ৭ দশমিক ৫।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মার্চে জাপানে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিলো। ভয়াবহ সেই ভূমিকম্প ও তার ফলে সৃষ্ট সুনামিতে দেশটিতে সে সময় মৃত্যু হয়েছিলো প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ জন মানুষের। সূত্র: এনডিটিভি