এবার নিজের আপন বাবার শেষ স্ত্রী ও নিজের সৎ মাকে বিয়ে করা মামুনুল হকের ৪র্থ স্ত্রীর পরিচয় ফাঁস!
একে একে চাঞ্চল্যকর খবরে ক্রমেই সমালোচনার শীর্ষে উঠে এসেছেন পুলিশের হাতে সদ্য আটক হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। পর পর তিন তিন জন স্ত্রীর খবর ভাইরাল হবার পর এবার প্রকাশ্যে আসলো ৪র্থ স্ত্রীর নাম। আর সেই ৪র্থ স্ত্রী হলেন মামুনুল হকের আপন বাবার শেষ পক্ষের স্ত্রী এবং তার সৎ মা!
মামুনুল হক তার বাবার শেষ স্ত্রীকে বিয়ে করার এ চাঞ্চল্যকর তথ্যটি জানালেন কমরেড ডা. এম এ সামাদ। তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ-এর (মার্কসিস্ট) জেনারেল সেক্রেটারি এবং দৈনিক সিপিবিএম’ পত্রিকার সম্পাদক। তিনি প্রয়ােজনীয় তথ্যপ্রমাণ হাতে নিয়েই তিনি ফেসবুক লাইভে এসে এমন তথ্য জানালেন।
ডা. এম এ সামাদ তার ফেসবুক লাইভে বিস্তারিত তুলে ধরে জানান, মামুনুল হকের ৪র্থ স্ত্রী হলেন তার সৎ মা এবং বিয়ের পর পরবর্তীতে নাম রাখা হয় ফারহানা। ফারহানা বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী।
মামুনুল হকের গ্রেপ্তারের খবরে উদগ্রীব হয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন ধরণের গুজব অপপ্রচার চালাচ্ছেন মামুনুল হকের ৪র্থ স্ত্রী ফারহানা, সেই সাথে উসকানি দিচ্ছেন মামুনুল হকের অনুসারীদের রাস্তায় নেমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং জ্বালাও পােড়াও শুরু করার জন্য।
জাসা যায়, ডা. এম এ সামাদ এর সাথে মামুনুল হকের পিতা স্বঘােষিত স্বাধীনতাবিরােধী শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা ছিল। ডা. সামাদ সেই পরিচয় এবং পারিবারিক সম্পর্কের সুবাদে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, মামুনুল হকের পিতার স্ত্রীর সংখ্যা অনেক, যাদের অনেকেই ছিলেন তার বাড়ির গৃহ পরিচারিকা। তাদেরকে একে একে বিয়ে করেন আজিজুল হক। এসব বিয়ের কোনাে রেজিষ্ট্রি বা কাবিন নাই। শুধুমাত্র মুখে কলেমা পড়ে বিয়ে এবং ছেড়ে দিলাম’ বলে ডিভাের্স দেয়া হতো়। এই স্ত্রীদের গর্ভে মােট সন্তানের সংখ্যা ১৪ জন। মামুনুল হক যাকে বিয়ে করেছেন সেই ফারহানা তার পিতা আজিজুল হকের শেষ বয়সে করা বিয়ের অতি অল্প বয়সী এক স্ত্রী। বয়সের বিস্তর ব্যবধানের কারণে এ নিয়ে মাদ্রাসায় এবং ধর্মীয় অঙ্গনে বেশ রসালাে আলাপ হতাে। এ নিয়ে ১৯৯১ সালে এক আলােচনায় তিনি খােদ মহানবী (স.) এর ৬ বছর বয়সী হযরত আয়েশা (রা.) কে বিয়ের উদাহরণ দিয়ে নিজের বিয়ের বৈধতা দান করেন।
এমনকি আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের সাথে এক আলােচনায় আজিজুল হক দেশের প্রচলিত আইনকে মুরতাদদের আইন আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, বিয়ের সংখ্যা এবং বয়স নির্ধারণ করা এই মুরতাদদের আইন আমরা মানি না। বরং ১৩টি পর্যন্ত বিয়ের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।
ডা. এম এ সামাদ জানান, মামুনুল হকের সেই সৎ মা এবং পরবর্তীতে স্ত্রী হওয়া নারী ফারহানা এখনও তার ফেসবুক প্রােফাইলে মামুনুল হকের এক্স স্ত্রী হিসেবে নিজের পরিচিতি বহন করছেন।