বুধবাড গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি’র সাথে সাক্ষাৎ করেন।
১৪ দলের অন্যতম শরিক দল, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ) এর সম্মানিত চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম-২( ফটিকছড়ি) আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য, আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বিটিএফ এর সম্মানিত উপদেষ্টা আলহাজ্ব সৈয়দ মুতাসিব বিল্লাহ রাব্বানী, বিটিএফ এর সম্মানিত যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভাণ্ডারী, বিটিএফ এর সম্মানিত যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র আলহাজ্ব মুহাম্মদ আলী ফারুখী, বিটিএফ এর সম্মানিত সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব শাহ মুহাম্মদ আলী হোসাইন ও বিটিএফ এর সম্মানিত সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ সেলিম মিয়াজি।
মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন সম্প্রতি ফ্রান্সের ‘দ্যা শার্লি হেবদো’-তে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটাক্ষ করে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। যা জাতিসংঘের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিধান সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। মহানবী (সা.) ছিলেন বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য তিনি ছিলেন করুণার মূর্তপ্রতীক। তাঁর পুরো জীবন ও আদর্শ সকলের জন্যই অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। জেহালতের যুগের সকল কুসংস্কার ও অন্ধকারাচ্ছন্নতাকে দূরীভুত করে মানবেতিহাসের সর্বোৎকৃষ্ট এক যুগের নির্মাতা ছিলেন তিনি; যেখানে সকল মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিশ্চিত হয়েছিল। আজকের এই আধুনিক বিশ্বেও তাঁর জীবনাদর্শ সমানভাবে প্রযোজ্য। তাই তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনী কোনো সভ্য সমাজের কাজ হতে পারে না। ফ্রান্সের এই ঘটনা পৃথিবীর তাবত মুসলমানকে আঘাত দিয়েছে; কেননা আমরা নিজেদের জীবনের চাইতেও মহানবীকে (সা.) অধিক ভালোবাসি; তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালোবাসা হৃদয়-গভীর থেকে উৎসারিত। তাই কেউ তাঁর অবমাননা করলে আমাদের হৃদয় ভেঙ্গে যায়। জীবন পরিচালনায় আমরা তাঁকে অনুসরণ করি; কেননা এটা আমাদের ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মহান আল্লাহ তাআলার নির্দেশ-বলে আমরা ইহকালীন ও পারলৌকিক উভয় জগতে তাঁকেই আদর্শ হিসেবে ধারণ করি। গোটা পৃথিবীর সকল মানুষের শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বিধান করেছেন তিনি; তাই সকল মানুষের উচিত তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
আমরা মহানবীর (সা.) শিক্ষা অনুযায়ী নিজ ধর্মের আনুগত্য ও অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি; কখনোই ভিন্ন মতাবলম্বীদের অসম্মান ও অকল্যাণ ইসলাম সমর্থন করে না। ধর্মের নামে জোর-জবরদস্তি, অগ্নি সংযোগ ও মানুষ হত্যার অনুমোদনও দেয় না ইসলাম; বরং সমাজের সর্বত্র শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই ইসলামের সুমহান আদর্শ। অন্যদিকে এ ধরনের ব্যঙ্গচিত্র জাতিসংঘের ‘হেইট স্পিচ’ বিধানের পরিপন্থী। পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদিনার সনদ’-এর মাধ্যমে মহানবী (সা.) সকল জাতির স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। বিদায় হজ্বের ভাষণে মানবতার মুক্তির দিশা দিয়েছেন; সেই মহানবীকে (সা.) নিয়ে ফ্রান্স সরকারের অবমাননায় আমরা ক্ষুব্ধ, মর্মাহত ও বেদনাগ্রস্থ।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নিম্মে প্রস্তাবাবলি পেশ করিলাম।
১. জাতিসংঘের মাধ্যমে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হোক যেন ভবিষ্যতে কোনো দেশ অনুরূপ ঘটনার অবতারণা করতে না পারে।
২. ওআইসি-এর মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানানো হোক।
৩. ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আমাদের হৃদয়ের আঘাত ও সংক্ষুব্ধ হওয়ার বিষয়ে জানানো হোক এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম যেন আর না ঘটে সেই মর্মে সতর্ক করা হোক।
৪. জাতীয় সংসদের মাধ্যমে প্রতিবাদ করা হোক।