ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২ নভেম্বর ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ

বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশল

অনলাইন ডেস্ক
নভেম্বর ২, ২০২৩ ৮:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তা নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। বিশেষ করে নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে যারা বাধা হবে তাদের জন্য ভিসা নীতির খড়গ ঝুলিয়ে দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

নতুন ভিসা নীতি কার্যকর হয়েছে এমন ঘোষণা দিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর জানানো হয়েছিল যে, কয়েকজনের ভিসা ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করেছিল যে বিএনপি হয়তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবে এবং শেষ পর্যন্ত দেশকে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন চাপ সহায়ক হবে।

কিন্তু সবকিছু ভুণ্ডুল করে দিয়েছে বিএনপি। বিএনপির আত্মঘাতী তৎপরতার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হতবাক হয়ে গেছে। ঘটনার পর মার্কিন দূতাবাস অনেকটাই নীরব।

অন্যান্য সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভাবে ঘটনার নিন্দা জানায় বা বিএনপির পাশে দাঁড়ায় এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তেমন দেখা যায়নি।

অবশ্য পুলিশ কনস্টেবলকে যেভাবে নির্মম হত্যা করা হয়েছে সেই ঘটনার ব্যাপারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন নিন্দা জানায়নি।

তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর পুলিশের ওপর হামলাসহ সহিংসতার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে ভিসা নীতির আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

কিন্তু এই সমস্ত পরিস্থিতির পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে বলেই কূটনৈতিক সূত্রের খবর পাওয়া গেছে।

কিছু কিছু কর্মকাণ্ডে তা দৃশ্যমানও হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছুদিন আগেও বলেছিল যে, বাংলাদেশের নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। সেজন্য সংলাপ দরকার তবে যুক্তরাষ্ট্র সংলাপে মধ্যস্থতা করবে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল যখন এসেছিল, তখনও তাঁরা একই রকম বক্তব্য দিয়েছিলেন।

কিন্তু ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন সংলাপের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

এই সংলাপে যেন সরকার রাজি হয় সেজন্য বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের ব্যাপারে একটি পরিবর্তিত কৌশল গ্রহণ করেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কৌশলের প্রথম ধাপ হল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে একটি সংলাপে বা সমঝোতা হবে।

এই সমঝোতার মধ্যে দিয়ে উভয় পক্ষ তাদের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসবে। অর্থাৎ বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসবে।

আওয়ামীলীগ যে ভাবে সরকার আছে সেভাবেই নির্বাচন হবে, এই অবস্থান থেকে সরে এসে একটি নির্বাচনকালীন সরকার বা ঐক্যমতের নির্বাচনকালীন সরকারের মতো কোনও একটি সহনশীল জায়গায় আসবে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন করবে।

প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরপেক্ষ থাকবে। এরকম একটি পরিস্থিতির মাধ্যমে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাপ দেবে।

এই রকম একটি চাপ যদি বিএনপি পায়, শেষ পর্যন্ত বিএনপি অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে নির্বাচন পর্যন্ত পুরো সময় কঠোর মনিটরিং এবং পর্যবেক্ষণ করবে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কোনও রকম অনিয়ম হচ্ছে কি না, কোনও রকম বিশৃঙ্খলা হচ্ছে কি না কিংবা কেউ কোনও কারচুপির চেষ্টা করছেন কি না তা কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হবে।

এই সময়ে যদি হয় দেখা যায়, সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনও অনিয়ম করছে, কোনও কারচুপি করছে বা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে তাহলে সেক্ষেত্রে ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন মনে করে যে আগামী নির্বাচনে অর্থপূর্ণ করার জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে আনা দরকার। আর সেটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় ছাড়াই হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র ইঙ্গিত দিচ্ছে ৷

ফলে এখন বিএনপির জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে তারা কী বলে নির্বাচনে আসবে?

কদিন আগেও যখন দলটি বলেছিল, এক দফা আন্দোলন এবং সরকারের পতন ছাড়া তারা ঘরে ফিরবে না সেখানে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে বিএনপির কি অস্তিত্ব থাকবে? -বাংলা ইনসাইডার।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।