গতকাল (২৬ আগস্ট) বিকেলে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়নের মধ্য কলমা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় জান্নাতুল ফেরদৌস ছোঁয়ামনি (১৮) নামের এক তরুণী গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ছোঁয়ামনি একই গ্রামের রতন খানের মেয়ে। সে বালিগাঁও আমজাদ আলী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল।
গৃহবধূ ছোঁয়ামনিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে।
নিহত গৃহবধূর ভাই মারুফ খান জানান, চলতি মাসের ১ তারিখে ছোঁয়ামনি একই গ্রামের প্রেমিক মুন্নার সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে।
মুন্না একই গ্রামের মনির শেখের ছেলে। পালিয়ে বিয়ে করার কারণে পরিবারের সদস্যরা ছোঁয়ামনির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
গত সপ্তাহে তারা লোকমুখে জানতে পারেন শ্বশুরবাড়িতে ছোঁয়ামনিকে নির্যাতন করা হচ্ছে।
শনিবার দুপুর ১ টার দিকে ছোয়াঁমনি তার বাবাকে ফোন দিলেও কাজের ব্যস্ততায় তিনি ফোন ধরতে পারেননি।
বিকেল তিনটার দিকে খবর আসে ছোঁয়ামনি আত্মহত্যা করেছে।
মারুফ মনে করেন তার বোন আআত্মহত্যা করেনি, তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে।
লৌহজং থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য আজ রবিবার সকালে মরদেহ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
এ ছাড়া অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে।