বানারীপাড়ায় ডকইয়ার্ডে মহসিন নামের এক ব্যক্তি বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেল ৪টার সময় বানারীপাড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড লাগোয়া সন্ধ্যা নদীর তীরে জেগে ওঠা চরে গড়ে তোলা মহসিনের মালিকানা ডকইয়ার্ডে স্টীলের ট্রলার গড়তে ওয়ারিং করার সময় এ দূর্ঘটনা হয়। জানাগেছে ওই ডকইয়ার্ডে তারা ৩ ভাই কাজ করতেন। ঘটনার দিন দুপুরের খাবার খেতে ৩ ভাই একসাথে ডকইয়ার্ড ত্যাগ করেণ। সবার আগে খাবার শেষ করে মহসিন কাজে যোগদেন। এর অল্প সময় পরেই সে ওয়ারিং করার সময় মেশিনের ওপরে পরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হন। স্থানীয়রা এ ঘটনার পরেই ডকইয়ার্ডের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে মহসিনকে বানারীপাড়া উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেণ। মহসিনের গ্রামের বাড়ি বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ছোটকারপাড় গ্রামে। তার পিতার নাম মো. সোহরাব হোসেন। মহসিনের ঘরে মাত্র এক মাস আগে এই প্রথম নতুন একজন অতিথি এসেছেন,তার সংসার আলো করতে স্ত্রীর কোলজুড়ে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করেণ। এদিকে মহসিনের মৃত্যুর খবরে গোটা ডকইয়ার্ড এলাকায় এবং তাদের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায় সন্ধ্যা নদীর তীরের চরে বেশ কয়েকজন যুবক ডকইয়ার্ড নির্মাণ করে তাদের সংসার চালাচ্ছেন। এটি করতে গিয়ে ওই যুবকদের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। তবে এই যুবকদের একাডেমিক কোন সার্টিফিকেট না থাকলেও তারা প্রত্যেকেই একেক জন ক্ষুদে ইঞ্জিনিয়ার। তারা্যই নিজ দক্ষতায় তৈরি করছেন ছোট বড় ট্রলার।এতে করে তারা উপজেলার অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।