ঢাকাসোমবার , ১৩ নভেম্বর ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ৯০ ভাগ দেশ বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১৩, ২০২৩ ১১:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) তে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ৯০ ভাগ দেশ বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। তবে কানাডা এবং স্লোভাকিয়া বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে সমালোচনা করেছে। সোমবার ইউপিআরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা হয়। সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সেখানে আইনমন্ত্রী বলেন, পর্যালোচনায় অংশ নেওয়া ১১১টি দেশের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ দেশ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি-অগ্রগতির প্রশংসা করেছে। কয়েকটি দেশ কিছু সুপারিশ করেছে, তাদের কিছু সমালোচনাও ছিল। স্লোভাকিয়া এবং কানাডা তার অন্যতম। তবে তাদের সমালোচনাও খুব জোরালো ছিল না। বাকিরা সমালোচনা নয় বরং প্রশংসা করেছেন। আনিসুল হক বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, বেলজিয়াম- অনেক ক্ষেত্রে আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রশংসা করেছে।

কিছু কিছু এরিয়া যেমন- নির্বাচন নিয়ে তারা প্রশ্ন করেছে। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং বেলজিয়াম উল্লেখযোগ্য।

তারা অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেছে। সেক্ষেত্রে আমি নির্বাচনের ব্যাপারে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। আমরা বলেছি যথাসময়ে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন প্রশ্নে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সুপারিশের বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, আমরা যে সাজেশন্স পেয়েছি সেগুলো পরীক্ষা করবো। আমরা সুপারিশগুলোর বিষয়ে আমাদের মতামত জানাবো। দু’চারদিনের মধ্যে পুরো সুপারিশগুলো আমরা পাবো।
সুপারিশ পেলে আমরা চিন্তা করবো কোনটা রাখবো, কোনটা রাখবো না। সুপারিশগুলো নিয়ে আমরা অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করবো এবং ফ্রেবুয়ারিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে জমা দেব। ইউপিআরে বাংলাদেশ নিয়ে যে সুপারিশ করা হয়েছে তা তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যক্রম এবং ব্যবস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারকরণ, জাতীয় পর্যায়ে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে বিভিন্ন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করা, প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা দূর করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রচেষ্টা জোরদারকরণ, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ, অভিবাসী শ্রমিকের সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন, গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, বাল্যবিবাহ রোধকরনে জোরদার প্রচেষ্টা গ্রহণ, মানব পাচার বন্ধকরণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা সম্পর্কিত সুপারিশ। ইউপিআরে বাংলাদেশের মানবাধিকারসহ সার্বিক বিষয় উপস্থান করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, বক্তব্যের পর আমাকে কেউ প্রশ্ন করেনি। তারা আমার বক্তব্য গ্রহণ করেছেন কি করেননি সেই ব্যাখ্যায় আমি যাচ্ছি না। আমি শুধু বলবো আমার বক্তব্যের তাদের আর কোন প্রশ্ন ছিল না। ইউপিআরে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সংলাপের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সংলাপের বিষয়ে কোনো কথা আসেনি। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত জোরালোভাবে আমাদের যে অবস্থান এবং যেটা বাস্তব সেটা বলেছি।

দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামায়েতের ভূমিকা প্রসঙ্গে ইউপিআরে দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত কি করছে আমরা সেটা বলেছি। আমি মনে করেছি, এটা বলা সরকারের পক্ষ থেকে ন্যায্য। আমাদের যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সেটা আমি পরিস্কারভাবে তুলে ধরেছি। সোমবার জেনেভায় চতুর্থ বারের মতো বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা হয়। এর আগে, ২০০৯, ১৪ এবং ১৮ সালে ইউপিআরে বাংলাদেশ পরিস্থিতি পর্যালোচনা হয়েছিল।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।