আলোচিত মেজর (অবঃ) সিনহা হত্যা মামলায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ নিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হলো এ হত্যা মামলায়। গ্রেফতারকতিরা হলেনঃ
~ এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান,
~ কনস্টেবল রাজীব এবং
~কনস্টেবল আবদুল্লাহ।
ঘটনার দিন এই তিনজনই এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছিলো শিপ্রা দেবনাথকে।
এরপর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসি প্রদীপ কুমার দাস, এসআই লিয়াকত, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৬ আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
উল্লেখ্য যে, এর আগে এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা সাতজন হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস।
এদিকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা প্রথমে গুলি করেছেন মর্মে এসআই লিয়াকত আত্মপক্ষ সমর্থনে যে কথা বলেছিলেন তা সত্য নয় বলে জানা যায় র্যাবের তদন্তে। কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের হাতে ঘটনার সময় কোনো অস্ত্রই ছিলো না। গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) মহাপরিচালক জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুনকে এ তথ্য জানান এ হত্যা মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম।