দুর্নীতির নতুন নতুন সূত্রের আবিষ্কারে আমাদের দেশের সরকারী কর্মকর্তারা যেন সিদ্ধ হস্ত। তেমনি এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলছেন খুলনার ফুলতলা শাখার কৃষি ব্যাংকের দূর্নীতির বরপূত্র ব্যাংক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।
খুলনার ফুলতলা শাখার কৃষি ব্যাংকের এক প্রকার রেওয়াজ হয়ে গেছে ঘুষ দিলেই ব্যাংক লোন মিলবে, না হয় লোনের জন্য দৌঁড়াতে হবে মাসর পর মাস। এমন অবৈধ ও দুর্ণীতির চিত্র অহরহ খুলনার ফুলতলা শাখার কৃষি ব্যাংকে।
ঘটনার প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, বুধবার ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফুলতলার এ ব্যাংক শাখাতে লোন নিতে আসেন মশিয়ালী গ্রাম থেকে মোফাজ্জেল গাজী। দু’লক্ষ টাকা লোন নিতে তাকে গুনতে হয়েছে কুড়ি হাজার টাকা।
আমিনুল ইসলাম ঘুষ গ্রহণের ভিডি চিত্র টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ক্যামেরা আমিনুলের পিছু নেয়। অবশেষে ঘুষের ২০ হাজার টাকা খুঁজে পাওয়া গেলো কৃষি ব্যাংকের আমিনুল ইসলামের ব্যক্তিগত ড্রয়ারে। এরই মধ্যে ব্যাংক ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান তদবির শুরু করেন।
তবে শুধু ব্যাংক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামই নন, এ দুর্ণীতির নেপধ্যে বয়েছেন ব্যাংকের অনেক রাঘব বোয়ালরা।
এর আগেও বেশ কয়েকজন লোন গ্রহীতাদের থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। একটি কল রেকর্ডের সূত্র ধরে অবশেষে গর্তের সাপ বেরিয়ে আসে। শুধু আমিনুল ইসলাম নয়, এ ব্যাংকের আরো কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি ব্যাংক, খুলনা বিভাগীয় শাখার জেনারেল ম্যানেজার শফিউল আজম বলেন, “এমন কোন তথ্য এখন পর্যন্ত কোন গ্রাহক আমাদের জানান নি। তবে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম বা দূর্নীতি প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ফুলতলা কৃষি ব্যাংকের শুধু আমিনুল নয় বরং এর নেপথ্যে রয়েছে আরো অনেক বড় রাঘব বোয়াল। তাদেরকে আইনের আওতায় আনলে বেরিয়ে আসবে অজানা অনেক দূর্নীতির চিত্র। তাই দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমিনুলদের মত কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
দুদকের ইনফরসমেন্ট শাখা জানান, “সচিত্র ভিডিও চিত্র বা কোন প্রমাণাদি আমাদের হাতে আসলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”