সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি এম. সাইফুর রহমান ও ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেফতারে নানা কৌশল অবলম্বন করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (২৭ সেপ্টেম্বের) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার ওসি ইকবাল হোসেন ও ছাতক সার্কেলের এএসপি বিল্লাল হোসেন।
ওসি ইকবাল হোসেন জানান, অর্জুন লস্করকে গ্রেফতারে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে সহযোগিতা করে মনতলা পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম। তাকে গ্রেফতারে গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকেই গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো হচ্ছিল। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরই দুর্লভপুর গ্রামে অভিযান চালানো হয়। যে গ্রাম থেকে অর্জুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটি ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভারতে পালিয়ে যেতেই ওই গ্রামে অবস্থান করছিলেন তিনি।
অন্যদিকে ছাতক সার্কেলের এএসপি বিল্লাল হোসেন বলেন, প্রধান আসামি সাইফুরের দাঁড়ি ছিল। তিনি দাঁড়ি কেটে মুখে মাস্ক লাগিয়ে ভোরে সুরমা নদীর খেয়াঘাটে যান। সীমান্ত এলাকায় গিয়ে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলেন সাইফুর। তাকে পালাতে কেউ সহায়তা করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ছাতক ও দোয়ারাবাজারে তার আত্মীয় আছে কিনা খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
ছাতক থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, সুরমা নদীর খেয়াঘাট এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলছিল। সাইফুরকে ভোর ছয়টা থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা খেয়াঘাট পার হয়ে অপেক্ষা করতে দেখে সন্দেহ হয়। কাছে যেতেই ছবির সঙ্গে তার মিল পাওয়া যায়। তখন তাকে নাম জিজ্ঞেস করা হয়। এতে তিনি সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। থানায় তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
তিনি আরো জানান, এই খেয়া পার হয়ে সীমান্তবর্তী দোয়ারাবাজার উপজেলায় যাওয়ার দুটো পথ আছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বুগলা সড়কপথ। এই সড়কপথ বুগলা গেলে নিরাপদে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করার সুযোগ ছিল সাইফুরের।