এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে নিয়মানুযায়ী ২০২৬ সালে উত্তরণের পর বাংলাদেশের কিছু বাণিজ্য সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞগণ বলছেন।
সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেবে রফতানি খাতে। এছাড়াও ঔষুধ শিল্পে এবং বর্তমানে আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রাপ্তি, এমনকি জলবায়ু ক্ষতি মোকাবেলা তহবিলে পর্যন্ত এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা সংস্থা সিপিডি’র বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের পরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধাসমূহ প্রত্যাহার করা হলে বাংলাদেশের রফতানি আয় ৮ থেকে ১০ শতাংশ কমতে পারে। এতে বছরে ২৫০ কোটি ডলার অর্থাৎ ২১ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার রফতানি আয় কমবে।
এদিকে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডব্লিউটিও অপর এক প্রতিবেদনে বলেছে, এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের ওপর নতুন যে নিয়মিত হারে শুল্ক আরোপিত হবে, তাতে বাংলাদেশের রফতানি আয় বছরে ৫৩৭ কোটি ডলার বা ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে।