ঢাকামঙ্গলবার , ১২ জুলাই ২০২২
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অশোক স্তম্ভে সিংহদের শ্বদন্ত কেন দেখা যাচ্ছে? প্রশ্ন তুলল বিরোধীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১২, ২০২২ ১০:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভে সিংহদের দাঁত কেন দেখা যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন সংসদ ভবনের মাথায় যে জাতীয় প্রতীকটির সম্প্রতি উন্মোচন করেছেন, সেটি আসলটির থেকে অনেক আলাদা। এবং পরোক্ষভাবে মোদি সরকারের চরিতই ফুটিয়ে তুলছে।

এই মর্মে একটি টুইট করেছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। তারা লিখেছে, সারনাথের মন্দিরের যে অশোক স্তম্ভকে ভারতের জাতীয় প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল, তার সিংহটি অনেক সৌম্য এবং শান্ত স্বভাবের। কিন্তু সংসদ ভবনের উপরের নতুন অশোক স্তম্ভের মূর্তিটি হিংস্র। তাদের দেখে মনে হচ্ছে গিলে খেতে আসছে। আরজেডি এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেছে, প্রতীককে সাধারণত চরিত্র বোঝাতেই ব্যবহার করা হয়। মোদী সরকারের নতুন প্রতীকেও তার চরিত্র স্পষ্ট।

তবে আরজেডি একা নয়, প্রতীক-বিতর্কে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন আইনজীবী তথা সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণও। সারনাথের সিংহকে তিনি মহাত্মা গান্ধীর মতো শান্ত এবং নতুন সংসদ ভবন সেন্ট্রাল ভিস্তার সিংহকে নাথুরাম গডসের মতো উগ্র বলে তুলনা করেছেন। টুইট করে প্রশান্ত লিখেছেন, এটাই মোদীর নতুন ভারত!

নতুন অশোক স্তম্ভের সমালোচনায় যোগ দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তাঁর দেবী কালী সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অশোক স্তম্ভ বিতর্কে অবশ্য তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। শুধুই টুইটারে পুরনো এবং নতুন প্রতীকের দু’টি ছবি পাশাপাশি শেয়ার করেছেন।

আম আদমি পার্টির রাজ্য সভার সদস্য সঞ্জয় সিংহ টুইট করে জানতে চেয়েছেন, ‘আমি ১৩০ কোটি ভারতীয়ের কাছে জানতে চাই, জাতীয় প্রতীক বদলে দেওয়ার এই চেষ্টা কি দেশদ্রোহ নয়!’

তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য এবং প্রসার ভারতীর প্রাক্তন প্রধান জহর সরকারও দু’রকম প্রতীকের ছবি শেয়ার করে বিবরণে লিখেছেন, ‘জাতীয় প্রতীকের অবমাননা। বাঁ দিকে আমাদের আসল প্রতীক। রাজকীয় অথচ কমনীয় সিংহ। মোদীর সংস্করণটি অকারণ উগ্রতায় পরিপূর্ণ। অবিলম্বে এটি বদলানো দরকার।’

যদিও বিরোধীদের এই সমালোচনায় গুরুত্ব দেয়নি বিজেপি। তারা জানিয়েছে, বিরোধীরা কেন্দ্রের সমালোচনার একটি নতুন বিষয় খুঁজে পেয়েছে। এর বেশি কিছু নয়। অন্য দিকে, নতুন জাতীয় প্রতীকের শিল্পী সুনীল দেওরেও তাঁর সাফাইয়ে বলেছেন, তিনি কোনো উগ্র মনোভাব থেকে প্রভাবিত হয়ে ওই মূর্তি তৈরি করেননি। তিনি মূর্তিগুলো নিজের মতো করেই বানিয়েছেন। তবে তার আগে সারনাথের আসল অশোকস্তম্ভটি নিয়ে গবেষণাও করেছিলেন। সূত্র: আনন্দবাজার

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।