পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে ২১ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ রায় দেন।
বয়স, শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় সর্বোচ্চ সাজা না দিয়ে আদালত এ সাজার আদেশ দেন। এক ধারায় তাদের তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর আরেক ধারায় দেড় বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাঁদের আরও এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অপর পাঁচ আসামিকে পৃথক দুই ধারায় সাড়ে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এঁরা হলেন—এমএ আউয়াল খান, রাসেল, মইনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন ওরফে বাবুল ও আলমগীর বিশ্বাস ওরফে রাজু।
১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁরা খালাস পেয়েছেন। এঁরা হলেন—এম এ কাইয়ুম ওরফে কাইয়ুম কমিশনার, দুলাল, তোফায়েল আহমেদ ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর শিকদার, আরিফুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, শামসুল হক মিয়াজী, বিপ্লব, খুরশীদ আলম মমতাজ, মোশারফ হোসেন ও মাহবুব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন রাজধানীর গুলশান থানার মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে বিএনপির নেতা–কর্মীরা রাস্তার ওপর ‘অবৈধভাবে’ সমাবেশ করেন। এই সমাবেশ চলাকালে পুলিশের কাজে বাধা দেন ও আক্রমণ করেন আসামিরা। রাস্তার চলাচলরত গাড়ি ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় গুলশান থানার এসআই শেখ সোহেল রানা চারজনের নাম এজাহারে উল্লেখ করে অজ্ঞাতানামা আরও ৩০–৪০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।