ইউক্রেন বাহিনী রাশিয়া অধিকৃত খেরসন অঞ্চলের পুন:নিয়ন্ত্রণ গ্রহণে তাদের পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে। এদিকে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ দল জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনের পথে রয়েছে। কেন্দ্রটি সপ্তাহান্তে নতুন করে গোলাবর্ষণের লক্ষ্যে পরিণত হয়। খবর এএফপি’র।
ছয় মাস আগে এ যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে খেরসনের উপকূল অঞ্চল এবং এর রাজধানী নগরীতে (খেরসন) রাশিয়ার বাহিনীর সাথে ইউক্রেন বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে।
আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ইয়ারোস্লাভ ইয়ানুশেভিচ টেলিগ্রামে বলেন, ‘ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় তাদের পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে।’
সোমবার রাতে দেওয়া প্রাত্যহিক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পাল্টা আক্রমণ শুরু করার কথা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। তবে তিনি বলেন, তারা ‘সীমান্তের’ দখলদার বাহিনীকে উৎখাত করবে।
তিনি বলেন, ‘প্রাণে বাঁচতে চাইলে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর পালানোর এখনই সময়।’
রাশিয়ার বাহিনী গত ৩ মার্চ খেরসন দখল করে। শহরটি বাসিন্দা প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার।
মস্কোর আগ্রাসনের পর এটি ছিল ইউক্রেনের প্রথম বড় শহরের পতন।
স্থানীয় সরকার কর্মকর্তা সার্গেই খলান ইউক্রেনের পিরয়ামি টিভি চ্যানেলকে বলেন, ‘আজ রাশিয়ার অধিকৃত খেরসন অঞ্চলে শত্রুপক্ষের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে শক্তিশালী কামান হামলা চালানো হয়।’
এদিকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সোমবার বলেন, জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুঃ কেন্দ্র পরিদর্শন করতে একটি বিশেষজ্ঞ দলের সাথে তিনি পথে রয়েছেন।
জাতিসংঘ পরমাণু সংস্থা জানায়, এ দল ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতি মূল্যায়নের পাশাপাশি এর প্রধান কার্যকারিতা নির্ধারণ করবে এবং নিরাপত্তা ব্যাকআপ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখবে।