হিজাব বিতর্কে মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানে টানা অষ্টম দিনের মতো চলমান বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন শহরেও। নরওয়ে ভিত্তিক সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এরইমধ্যে দেশটির অন্তত ৮০টি শহরে ছড়িয়েছে বিক্ষোভ। ক্ষোভে ফুঁসছে রাজধানী তেহরান।
সেখানে সন্ধ্যা নামার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। পোড়ানো হয় কুশপুত্তলিকা ও হিজাব। সরকারের তরফ থেকে এ পর্যন্ত ১৭ বিক্ষোভকারী ও ৫ পুলিশ নিহতের কথা জানানো হলেও তা অস্বীকার করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপ। সংঘাতের ছবি যাতে বহির্বিশ্বে না ছড়ায় সেজন্য ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের পাশাপাশি হোয়াটস অ্যাপ, ইন্সটাগ্রাম বন্ধেরও অভিযোগ উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় ইন্টারনেট পরিষেবা সম্প্রসারণে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। স্টারলিংক স্যাটেলাইট ব্যবস্থার মাধ্যমে তেহরানকে ইন্টারনেট দুনিয়ায় সংযুক্ত রাখার অঙ্গীকার করেছেন স্পেসএক্স সিইও এলন মাস্ক।
ইরান সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী বিক্ষোভ সামাল দেয়ার সময় পুলিশের গুলিতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সরকারের দেওয়া তথ্য ভুয়া বলে অভিযোগ উঠেছে।
মানবাধিকার সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অন্ততপক্ষে ইরানের ৮০টি শহরে মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ।
৩০টি নগর ও শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে বিক্ষোভকারী ও সামাজিক অ্যাক্টিভিস্টদের গণগ্রেফতারের আশঙ্কা বাড়ছে।
এদিকে ইরানের পুলিশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানি নারীদের ওপর নির্যাতন ও দমন-পীড়নের অভিযোগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাইডেন প্রশাসন।