জাপানের আবহাওয়া সংস্থা, এটিকে এই অঞ্চলে ২০১১ সালে আঘাত হানা মহাভূমিকম্পের আফটার শক বা পরাঘাত বলে ধারণা করছে।
সংস্থার ভূমিকম্প সম্পর্কিত তথ্যের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী কামাইয়া নোরিকো জানান, “যেসব এলাকায় বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে সেসব এলাকায় বাড়িঘর ধ্বসে পড়া এবং ভূমিধ্বসের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। আগামী সপ্তাহ বা তার কাছাকাছি সময়ে সর্বোচ্চ ছয় প্লাস মাত্রার ভূমিকম্পের জন্য লোকজনকে সতর্ক থাকার বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।”
শনিবান রাতের এই শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ধারাবাহিক অনেকগুলো ভূকম্পন অনূভূত হয়, যেগুলোর কেন্দ্র ছিল ফুকুশিমা জেলার উপকূলের অদূরে। কর্মকর্তারা, আরও পরাঘাতের বিষয়ে সতর্ক থাকতে লোকজনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।
প্রাথমিক শক্তিশালী ভূমিকম্পটিতে মিয়াগি এবং ফুকুশিমা জেলার চারটি পৌরসভায় শূন্য থেকে সাত পর্যন্ত থাকা জাপানি স্কেলে ছয় প্লাস মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়।
আবহাওয়া সংস্থা, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ফুকুশিমা জেলার উপকূলের অদূরে ৫৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল বলে ধারণা করছে।
জাপানের কেন্দ্রীয় সরকার, ফুকুশিমা জেলার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য একটি জরিপ দল পাঠিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সুগা ইয়োশিহিদে রবিবার ভোরে বলেন যে, সুনামির মত বিপদের কোন সম্ভাবনা নেই। তিনি আরও বলেন, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে কোন সমস্যার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, টোকিও’র বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শনিবার রাতে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনও বাংলাদেশির হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে দূতাবাসের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। দূতাবাস এ লক্ষ্যে জরুরি সহায়তার জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে। হটলাইন নম্বরগুলো হল, ০৮০৭৮৫৫৫৫১৪, ০৭০৮৩৮৩৮৫৭৬, ০৭০১২৬০১৯৮৪, ০৮০৪০৬৫৬৬০১ এবং ০৭০৩২০২৪৪০০।
