টুইটারে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে নিষিদ্ধ করার একদিনের মাথায় তাদের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দিয়েছেন ইলন মাস্ক।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ ওঠার পর শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সেসব সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেয়া হয়।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে এক পোলের মাধ্যমে মাস্ক ব্যবহারকারীদের কাছে জানতে চান ওইসব
সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট তাৎক্ষণিক ফিরিয়ে দেয়া উচিৎ নাকি এক সপ্তাহ পর।
পোলে প্রায় ৫৯ শতাংশ ভোটদানকারী তাৎক্ষণিক সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেয়ার পক্ষে ভোট দেন।
পরে এক টুইটবার্তায় মাস্ক বলেন, ‘জনগণ তাদের মতামত দিয়েছে।
যেসব অ্যাকাউন্ট আমার অবস্থান ফাঁস করে দিয়েছিল তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এখন তুলে দেয়া হবে’।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমস, সিএনএন ও ওয়াশিংটন পোস্টের বেশ কিছু সাংবাদিকের বন্ধ হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট আবার খুলে দেয়া হয়েছে।
ইলন মাস্কের সার্বক্ষণিক অবস্থান ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) ওই সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার পর মাস্কের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন বিভিন্ন দেশের সরকারি
কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সংগঠন।
এর মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় মাস্ককে সতর্ক করে দেয় জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
জাতিসংঘের বৈশ্বিক যোগাযোগ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি মেলিসা ফ্লেমিং বলেন, সাংবাদিকদের ‘নির্বিচারে’ টুইটারে নিষিদ্ধ করার ঘটনায় তিনি ‘গভীরভাবে চিন্তিত’।
অন্যদিকে টুইটারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন ইইউ কমিশনার ভেরা জুরোভা।