রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে,
ইউক্রেনের বিশেষ সামরিক অভিযানে গত দিনে রাশিয়ান
বাহিনী কুপিয়ানস্ক এলাকায় ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র/আর্টিলারি ডিপো ধ্বংস করেছে।
তারা বিবৃতিতে বলেছে, ‘খারকভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক
এবং লিপসিদের বসতিগুলির কাছাকাছি,
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ৪১ তম যান্ত্রিক ব্রিগেড এবং
১১৩ তম আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা ব্রিগেডের গোলাবারুদ ক্ষেপণাস্ত্র এবং আর্টিলারি সঞ্চয়কারী ডিপোগুলো নির্মূল করা হয়েছে।’
রুশ বাহিনী গত ২৪ ঘন্টায় কুপিয়ানস্ক এলাকায় ইউক্রেনের
প্রায় ৩০ সেনা, একটি ট্যাঙ্ক ও
একটি মার্কিন তৈরি রাডার স্টেশন, ক্র্যাসনি লিমানে ৫০ জন সেনা, দুটি সাঁজোয়া যুদ্ধ যান ও দুটি ডি-৩০ হাউইটজার,
ডোনেটস্কে ১৬৫ জন সেনা ও মার্কিন তৈরি এম৭৭৭ আর্টিলারি সিস্টেম সহ সামরিক হার্ডওয়্যার সাতটি আইটেম,
দক্ষিণ ডোনেটস্কে ১৮৫ জন কর্মী নিহত,
তিনটি সাঁজোয়া যুদ্ধ যান, দুটি মোটর যান ও
একটি ডি-২০ আর্টিলারি, জাপোরোজিয়ে এলাকায় ৪৫ জন ইউক্রেনীয় সেনা, এমস্তা-বি হাউইটজার,
একটি ডি-৩০ হাউইটজার ও একটি মার্কিন তৈরি এম১১৯ বন্দুক এবং খেরসনের ইউক্রেনের গোলাবারুদ ডিপো,
২০ জন সেনা, দুটি মোটর গাড়ি ও একটি মার্কিন তৈরি এম৭৭৭ আর্টিলারি সিস্টেম ধ্বংস করেছে, মন্ত্রণালয় বলেছে।
রাশিয়ার যুদ্ধবিমান গত দিনে দেপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে
ইউক্রেনের একটি মিগ-২৯ ফাইটারকে গুলি করে ভুপাতিত
করেছে, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাশাপাশি রাশিয়ার বিমান
প্রতিরক্ষা বাহিনী গত দিনে দুটি ইউক্রেনীয় নেপচুন অ্যান্টি-শিপ মিসাইল, একটি জেডিএএম স্মার্ট বোমা
এবং হিমার্স ও গ্র্যাড মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমের
সাতটি রকেট ভ‚পাতিত এবং ৭০টিরও বেশি ইউক্রেনীয় মানববিহীন আকাশযান করেছে।
সব মিলিয়ে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু
হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী
৪৮৪টি ইউক্রেনীয় যুদ্ধবিমান,
২৫০টি হেলিকপ্টার,
৭,৪৯১টি মনুষ্যবিহীন আকাশযান,
৪৪০টি সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম,
১২,৩২৬টি ট্যাংক এবং অন্যান্য সাঁজোয়া যুদ্ধ যান,
১,১৬০টি মাল্টিপল রকেট লঞ্চার,
৬,৬৪২টি ফিল্ড আর্টিলারি গান ও মর্টার এবং
১৩,৭৮৯টি বিশেষ সামরিক মোটর যান ধ্বংস করেছে, মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট করে বলেছে।
অক্টোবরে তুরস্কে ইউক্রেন নিয়ে আন্তর্জাতিক বৈঠক হতে পারে।
ব্লুমবার্গ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আঙ্কারা অক্টোবরের
শেষের দিকে একটি আন্তর্জাতিক বৈঠকের আয়োজন
করার পরিকল্পনা করেছে, যার লক্ষ্য হবে ইউক্রেন সংঘাতের সমাধান খুঁজে বের করা।
সূত্র অনুযায়ী, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান সহ বিভিন্ন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা আলোচনার জন্য ইস্তাম্বুলে যাবেন।
রাশিয়াকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং চীন তার প্রতিনিধি পাঠাবে কিনা তা এখনও অজানা, সূত্র জানিয়েছে।
এজেন্ডায় রয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির শান্তি পরিকল্পনা এবং কিয়েভের এই উদ্যোগ
নিয়ে আলোচনার জন্য এই বছর একটি বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলন করার অভিপ্রায়।
জুনে ডেনমার্কে এবং আগস্টে সউদী আরবে অনুষ্ঠিত আলোচনার পর ইস্তাম্বুল আলোচনা এ বিষয়ে আয়োজিত তৃতীয় বৈঠক হবে। সূত্র : তাস, রয়টার্স।