রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা মামলায় জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমানকে ৭ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী শফিকুরের আইনজীবীর করা জামিন ও রাষ্ট্রপক্ষের করা রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ।
এর আগে শফিকুরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিন ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
তখন সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছিলেন, শফিকুর রহমানের ছেলে ডাক্তার রাফাত সাদিক তার সহযোগীদের নিয়ে নতুন জঙ্গী সংগঠনের দাওয়াতের কাজ করতো।
এছাড়া রাফাত ও তার সহযোগীদের জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করেছিল শফিকুর।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন ‘২০২১ সালের জুনে ডা. রাফাতসহ তার কয়েকজন সহকারী তার বাবা জামায়াত আমিরের সম্মতিক্রমে বান্দরবান থেকে ফেরত আসেন।
জামায়াত আমির তাদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পুলিশের নজর এড়াতে দুটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে দেন।
সেখান থেকে কয়েকজন ঢাকায় এবং কয়েকজন সিলেট অঞ্চলে চলে যায়। বান্দরবানে হিজরতের ১১ জনের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার ডা. শফিক বহন করেন। সেই কানেকশনেই জামায়াতের আমিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ৯ই নভেম্বর শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাতকে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যে মামলা করা হয়েছিল সেই মামলাতেই শফিকুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
