ঢাকাসোমবার , ৯ জানুয়ারি ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জিহাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনা ক‌রে জ‌ঙ্গিরা

অনলাইন ডেস্ক
জানুয়ারি ৯, ২০২৩ ৪:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও রাজধানীর কদমতলী এলাকা হতে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারীসহ তিনজনকে
গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
এসময় বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) বেলা একটার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান এই তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারা হলেন– সন্দেহভাজন অস্ত্র সরবরাহকারী কবির আহাম্মদ (৫০), শামীম মাহফুজের সহযোগী ইয়াসিন (৪০) ও আব্দুর রহমান ইমরান।

এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি দেশীয় অস্ত্র, ছয়টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি, সিসা, এসিড, গান পাউডার, অকটেনসহ বিভিন্ন ধরনের দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে।

সিটিটিসির ধারনা, জঙ্গি সংগঠনটি সদস্যদের প্রশিক্ষণে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।

সিটিটিসি প্রধান জানান, জঙ্গি সংগঠনটি আগামী দিনে জিহাদের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। ইতিমধ্যে তারা দেশি-বিদেশি অনেক অস্ত্রের মজুদ করেছে।
গ্রেপ্তার সদস্যদের দেওয়া হতো আইডি প্রশিক্ষণও। এমনকি তারা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে অস্ত্র সরবরাহ করতে চেয়েছিলেন।

সিটিটিসি প্রধান জানান, গত ২১ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্রগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম তুহিন ও নাঈম হোসেনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই সংগঠনে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে কবির আহাম্মদকে শনাক্ত করে সিটিটিসি।
পরে সিটিটিসি কবির আহাম্মদকে বান্দরবান জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি বাইশারী এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে মাটির নিচে লুকায়িত অবস্থায় দুটি প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তর কবির সিটিটিসিকে জানিয়েছেন, তিনি জঙ্গি সংগঠনটিকে অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলোর কিছু অংশ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কাছ সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল।

জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার কথিত মাস্টারমাইন্ড পলাতক ও আসামি শামিন মাহফুজ দুর্গম পার্বত্য এলাকায় ওই সংগঠনের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন ধাপে অস্ত্র সংগ্রহের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

গ্রেপ্তার ইয়াসিন ও আব্দুর রহমান ইমরান শামিন মাহফুজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
ইমরানের মাধ্যমে শামিন মাহফুজ বিভিন্ন সময় তার সাংগঠনিক ও আর্থিক লেনদেন করতো।
এছাড়া গ্রেফতার ইয়াসিন বিভিন্ন সময় শামিন মাহফুজ ও কথিত হিজরতকারীদের জন্য শেল্টার হাউজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কবীর আহাম্মদ আগে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করলেও এখন তিনিও জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার সক্রিয় সদস্য।
তিনি অস্ত্র সরবরাহের জন্য এই জঙ্গি সংগঠনের কাছ থেকে টাকাও নিতেন।

এখন পর্যন্ত কতজন সদস্য এই জঙ্গি সংগঠনে আছে–জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান বলেন, আমরা এখনও কথিত হিজরতকারীদের নিয়ে কাজ করছি।
এছাড়া এই সংগঠনের কত সদস্য আছে তা বলা যাচ্ছে না।

সিটিটিসি প্রধান জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে। আজ তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।