ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২ জুন ২০২২
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জিয়ার প্রথম কবর রাঙ্গুনিয়ায়, বিনা জানাজায়…

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২, ২০২২ ৪:৩৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

প্রায়ই কিছু উজবুক বঙ্গবন্ধু এবং জিয়াউর রহমানের জানাজার তুলনা করে। বঙ্গবন্ধুর জানাজায় নাকি মানুষ পাওয়া যায় নাই, বিপরীতে জিয়ার জানাজায় লাখ লাখ লোক। এই বয়ানে প্রচুর লোকজন আবার বিভ্রান্তও হয়। তারা তাইতো তাইতো বলে মাথা নাড়ায় আর ভাবে বঙ্গবন্ধুর তুলনায় কি ভীষণ জনপ্রিয়ই না ছিলো তাইলে জিয়া। দুই হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতগুলা বিচার করলেই কিন্তু উত্তরটা মিলে যায় এবং আগরতলা চকিরতলার ফালতু তুলনায় যাওয়ার অবকাশ থাকে না।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর অনেকে নাকি মিষ্টি বিলাইছে, রাস্তায় নাকি উল্লাস হইছে। এইগুলা হইলো ওই বয়ানবাজিরে স্টাবলিশ করার জন্য আনুষঙ্গিক চাপা। বাস্তবতা হইতেছে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পরপরই সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়। এবং স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয় কারফিউ ভেঙে কাউকে রাস্তায় দেখা মাত্র গুলি করে হত্যা করা হবে। টানা তিন দিন এই কারফিউ ছিলো। ১৮ তারিখ সকালে এই কারফিউ ৬ ঘন্টার জন্য শিথিল করা হয়। পর্যায় ক্রমে তুলে নেওয়া হয়। এই তিনদিন গোটা দেশে কি ঘটতেছে তা জানার উপায় ছিলো না সাধারণ মানুষের। একমাত্র রেডিও আর টিভিতে খুনীরা যা প্রচার করে গেছে তাই শুনতে এবং মানতে বাধ্য হইছে তারা। একাত্তরের দগদগে স্মৃতি তখনও তাড়া করে বাংলার মানুষরে। আর্মি, কারফিউ এবং হত্যা তাদের কাছে তখনও মূর্তিমান বিভীষিকা। তাই আনন্দ কিংবা শোক প্রকাশের সুযোগ ছিলো না কারও। খুনীদের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুর লাশ একটা হেলিকপ্টারে করে তার দেশের বাড়ি টুঙ্গিপাড়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্থানীয় মসজিদের ইমাম বঙ্গবন্ধুর লাশের গোসল করান। চারজন শ্রমিককে ডেকে সেনা তত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুর কবর খোড়া হয়। ওই পাচজনই জানাজা পড়ে। সেনাসদস্যরা তাতে অংশ নেয় নাই।

কথা হইতেছে বঙ্গবন্ধুরে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা হইছিলো। দেশের শাসনভার নিয়ে নিছিলো খুনীরা। জিয়ার বেলায় তা ঘটে নাই। চট্টগ্রামে জিয়া হত্যাকান্ডের খবর পাওয়ার পর সারাদেশের মানুষ উৎকণ্ঠাভরে দেখে গেছে এরশাদ এবং মঞ্জুরের লড়াই। কাক্কু প্লেইড দ্য গেইম ওয়েল। পাক্কা দাবাড়ুর মতো বিএনপির সাত্তাররে ক্ষমতায় রাইখা নিজে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। মঞ্জুর এবং তার সঙ্গীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগও দেওয়া হয় নাই। স্ট্রেট গুলি করে মেরে ফেলছেন। তারপর জিয়ারে শহীদ ঘোষণা দেওয়াইয়া বিশাল জানাজার এন্তেজাম করছে। স্বাভাবিক দেশের মানুষ অন্তত এইবার সেনা বাহিনীর হাতে ক্ষমতা যাইতে না দেইখা স্বস্তি পাইছে। ঢাকায় সেই গায়েবানা জানাজায় ঢল নামছে মানুষের। এবং কাক্কু মাস কয়েকের মধ্যে আসল চেহারায় হাজির হইছেন। কাটা দিয়া কাটা তুইলা কাহিনী খতম করে দিছেন। স্বৈরশাসন কত প্রকার ও কি কি হাতে কলমে দীক্ষা দিছেন। আর বেকুবের দল আছো জানাজার তুলনা নিয়া…

পুনশ্চ: জিয়ার প্রথম কবর রাঙ্গুনিয়ায়, বিনা জানাজায়…

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।